“কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে এ বিষয়ে আইন না করে উপায় নেই,” বলেন তিনি।
Published : 04 Apr 2024, 09:12 PM
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই আইনের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করবে সরকার।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভালো-মন্দ উভয় দিকই রয়েছে। এতে ভীত হওয়ার কিছু নেই। মন্দ দিকগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন প্রণয়নের জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
“যখনই কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়, তখনই কর্ম পদ্ধতির অংশ হিসেবে অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত নেওয়া হয়। এই মতামত নেওয়ার কাজটি সরকার করছে।…চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ আইনটির চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হবে।”
‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নিয়ে বিটিআরসি ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কথা বলেন মন্ত্রী।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
বর্তমান সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ঘোষণা বাস্তবায়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন জানিয়ে আনিসুল বলেন, “এর আগে কোনো আইনের একটি খসড়া তৈরি করে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হত। এখন অংশীজনদের মতামত নিয়ে খসড়া তৈরি করতে চাই। সে কারণেই ‘এআই’ আইনের জন্য অংশীজনদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভা।”
এআই আইনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে ফেইক (ভুয়া) ফটো প্রচার করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে এ বিষয়ে আইন না করে উপায় নেই।
“তবে প্রথম পর্যায়ে এ আইনে যথেষ্ট ফ্লেক্সিবিলিটি (নমনীয়তা) থাকতে হবে। শুধু যে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার হবে, সেখানে একটু শক্ত হতে হবে। পলিসির বাইরে আইন করে লাভ নেই। আবার আইনের বাইরে পলিসি করা অর্থহীন।”
মতবিনিময় সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি মোকাবেলা এবং সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্যই এআই আইন করা অত্যন্ত প্রয়োজন।”