শ্রম অধিকার হরণ করে এমন কার্যক্রমের জন্য বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ইতোমধ্যে ‘বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, অধিকার ও উচ্চ শ্রমমান’ শীর্ষক একটি স্মারকে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশনের (এপিইসি) একটি আয়োজনে ওই স্মারকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
সেই স্মারক প্রকাশের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারের রক্ষক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে হুমকি দেয়, ভয়ভীতি দেখায় ও আক্রমণ করে আমরা তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনার কাজ করব।
“যার মধ্যে থাকবে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক দণ্ড, ভিসা বিধিনিষেধসহ আমাদের ভাণ্ডারে থাকা সবগুলো অস্ত্র।”
এমন ভূমিকার নেওয়ার বিষয়ে উদাহরণ টানতে গিয়ে বাংলাদেশি শ্রম অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তারের উদাহরণ টেনে যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশি গার্মেন্টসকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট কল্পনা আক্তারের মতো ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে চাই আমরা; যিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তার পক্ষে ভূমিকা রাখার কারণে এখনো তিনি বেঁচে আছেন।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারের সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য ওই স্মারকের আওতায় বিশ্বব্যাপী সরকার, শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে যুক্তরাষ্ট্র।
“তার মানে হচ্ছে, সারাবিশ্বে আমাদের সব রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের পরিচালনাকারী কর্মীরা শ্রমিক, ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে কাজ করবে, যাতে আমাদের সব কাজে তাদের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত হয়।”