সহিংসতা: কঠোর সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে আরও তথ্যের অপেক্ষায় ইসি

যে কারো মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সিইসি ফেরার পর রোববার এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত হবে।

ভোটের প্রচারের বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনার পর কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, কিছু তথ্য পাওয়ার পর রোববারই কঠোর সিদ্ধান্ত হতে পারে; সেক্ষেত্রে কারো কারো প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে।

সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি নির্বাচন ভবনে শনিবার বলেন, “এরমধ্যে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক মারা গিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত । বিধি লঙ্ঘনে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, প্রার্থিতা বাতিলের মতো কঠোর সিদ্ধান্তে চলে যাব আমরা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বর্তমানে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন।

এদিন তিন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান ইসিতে বৈঠক করেন।

পরে আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সহিংসতার বিরুদ্ধে ইসির অবস্থানের বিষয়ে তিনি, "প্রার্থিতা বাতিল হবে, কোনো না কোনো জায়গায় কারো না কারো, এইটুকু আভাস আমি দিয়ে রাখলাম।"

স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোথাও কোথাও মাঠে দাঁড়াতে পারছেন না, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী অনেকেই আচরণবিধি মানছেন না - এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা ইতোমধ্য বিভিন্ন জেলা ঘুরে এসেছি। আচরণবিধি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আজকেও আমরা কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেছি। আরো কিছু তথ্য চেয়েছি। আগামীকাল (রোববার) আরও কিছু তথ্য পেলে দেখবেন যে কিছু কঠোর সিদ্ধান্তে চলে যাব।”

“কোনো রকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বড়-ছোট সকলকে একইভাবে দেখছি। সেক্ষেত্রে আমরা নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মাঠে নিরপেক্ষ অবস্থান আছে। কোনো শঙ্কা, ভয়ভীতি বা আনুকূল্য নাই। কেউ রেহাই পাবে না। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা করার দরকার করে যাব।"

সহিংসতায় একজনের মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনের কারণে অনেকে ব্যক্তিগত শত্রুতার বিষয়টিও সামনে আনছে। আমরা নিরপেক্ষতার সঙ্গেই দেখব। এখানে যে কারো মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত। এভাবে মৃত্যু, একটা মৃত্যুও আমরা চাই না। এজন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। একটু সময় দেন। বাকিটা আপনারা দেখবেন।”

ভোট প্রতিহতকারীদের বিষয়েও কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানান এই নির্বাচন কমিশনার।

“মাঠেও একই কথা বলেছি। কেউ ভোটে নাও আসতে পারেন, ভোট দিতে নাও পারে। ভোট প্রতিহত করার অধিকার কারো নাই। কিন্তু অন্যকে প্রতিহত করলে আমরা এবার সংশোধনী এনেছি, সাত বছর পর্যন্ত জেল বা অর্থদণ্ড করার জন্য। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট আমরা সকলকে বলেছি, যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। কাজেই কোনো ব্যত্যয় হবে না।”

পক্ষপাত করলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:

মাদারীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মিছিলে বোমা হামলা: ৫৭ জনকে আসামি

পিরোজপুরে হামলায় আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের মৃত্যু

পিরোজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাইপোর ওপর হামলার অভিযোগ