প্রকল্পটি এখন একনেকের অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
Published : 19 Sep 2022, 01:53 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা এবং আগেরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৮৭১১ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার কমিশন সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত করা হয় জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, প্রকল্পটি এখন একনেকের অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
“এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা হবে। এছাড়া ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ, জনবল তৈরি ও প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যয় রাখা হয়েছে এখানে। আমরা এক সপ্তাহের মধ্যেই এ প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাব।”
ইভিএমের নতুন প্রকল্প: চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে আগামী সপ্তাহে
নির্বাচন ভবনে এদিনের কমিশন সভায় চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। কোভিডে আক্রান্ত সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। তার সভাপতিত্বেই কমিশনের এ মুলতবি সভা হয়।
গত বৈঠকে প্রকল্পের ইভিএমের বাজার দরসহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না পাওয়ায় সভাটি মুলতবি করা হয়। সোমবারের সভায় সব কিছু পর্যালোচনা করে প্রস্তাবিত প্রকল্পে সায় দেয় কমিশন।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বর্তমানে আমাদের কাছে যে ইভিএম আছে, তা দিয়ে সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ভোট করার সম্ভব। তাই ১৫০টি আসনে নির্বাচন করতে হলে নতুন করে ইভিএম কিনতে হবে।
“এজন্য ইসি সচিবালয় নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব কমিশন সভায় তুলেছিল। আমরা এটার অনুমোদন দিয়েছি। এখন পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। তারা অনুমোদন করবে কি করবে না এটা তাদের বিষয়।”
ইসির রোডম্যাপ: মহানগর ও জেলা সদরে ইভিএমে ভোট
ইভিএম নিয়ে কোন দল কী বলে গেছে, প্রকাশ করে দেব: আলমগীর
১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বিতর্কিত: টিআইবি
বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে ইসির কাছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদার কমিশন এসব ইভিএম কেনার প্রথম প্রকল্প নেয়। শেষ পর্যন্ত মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।
এ পরিস্থিতিতে ভোটের বছর খানেক আগেই নতুন ইভিএম সংগ্রহের কাজ শেষ করতে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সরকারের সায় পেলে ভোটের আগে সব কেনাকাটা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কাজ সম্ভব বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যে কর্ম পরিকল্পনা ইসি প্রকাশ করেছে, তাতে মহানগর ও জেলা সদরের সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পা রাখা হয়েছে।
ইভিএম সংক্রান্ত বর্তমান প্রকল্প ২০২৩ সালের জুনে শেষ হচ্ছে। ২০১৮ সালে নেওয়া ওই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।