ইভিএমের জন্য ইসির ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

দেড়শ আসনে ব্যবহার করতে হলে আরও অন্তত দুই লাখ ইভিএম লাগবে ইসির।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2022, 04:31 PM
Updated : 12 Sept 2022, 04:31 PM

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা এবং আগেরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে। মঙ্গলবার তা কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সোমবার বলেন, “আগামীকাল কমিশনের সামনে নতুন করে আরও ইভিএম কেনার জন্যে প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। এরপর এনিয়ে পর্যালোচনা করবে ইসি। এ প্রস্তাব ইসির অনুমোদন পেলে পরিকল্পনা কমিশনে ডিপিপির (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) জন্য পাঠানো হবে।”

চলতি মাসে ডিপিপি আকারে পাঠানো সম্ভব হলে সব প্রক্রিয়া শেষ করে ডিসেম্বরের ইভিএমের দ্বিতীয় প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদন পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

অশোক দেবনাথ জানান, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির অধীনে প্রায় ২ লাখ ইভিএম কেনা হতে পারে। সেই সঙ্গে যন্ত্রের যথাযথ সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও জনবল তৈরি করা হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে।

আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড়শ’ আসনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

যন্ত্রে ভোটগ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বিভক্ত থাকলেও ইসি ইভিএম ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষপাতি, আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও তা চায়।

Also Read: ইভিএমে আপত্তি কেন, ব্যাখ্যা দিলেন ফখরুল

Also Read: ইসির ইভিএমে কারসাজির সুযোগ নেই: জাফর ইকবাল

Also Read: ইভিএম কেনার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

Also Read: ইভিএম: দেড় লাখের ৩০ শতাংশের 'রক্ষণাবেক্ষণে' যাচ্ছে ইসি

বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে ইসির কাছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদার কমিশন এসব ইভিএম কেনার প্রথম প্রকল্প নেয়। শেষ পর্যন্ত মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেড় লাখ ইভিএম দিয়ে ৭০-৮০টি আসনে ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে। ফলে দেড়শ আসনের জন্য নতুন ইভিএম কেনার বিকল্প নেই।

এই পরিস্থিতিতে ভোটের বছর খানেক আগেই নতুন ইভিএম সংগ্রহের কাজ শেষ করতে এখনই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।

ইভিএম সংক্রান্ত বর্তমান প্রকল্প ২০২৩ সালের জুনে শেষ হচ্ছে। ২০১৮ সালে নেওয়া ওই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে কেনা দেড় লাখ ইভিএমের রক্ষণাবেক্ষণে এ পর্যন্ত ৩৬ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। প্রতিনিয়ত এ ব্যয় বাড়ছে। নতুন ইভিএম প্রকল্প-২ আগামীতে অনুমোদিত হলে তা থেকেই রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় নির্বাহ করা হবে।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসির কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে আসছেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার সকালে নির্বাচন ভবনে এ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলন হবে বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক দেবনাথ।

Also Read: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পথে ইসির কর্ম পরিকল্পনা ‘চূড়ান্ত’