ইভিএম কেনার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

জাতীয় নির্বাচনের আগে আলোচিত প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা ও সংরক্ষণের প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2018, 11:55 AM
Updated : 18 Sept 2018, 06:44 PM

আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচনী আইন সংশোধনে প্রস্তাব পাঠানোর পাশাপাশি এই প্রকল্পটিও অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে পাঠায় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

মঙ্গলবার তা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, ত্রুটিমুক্ত, বিশ্বাসযোগ্য ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর করতে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে হলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে এখনি যন্ত্রে ভোটগ্রহণের বিরোধিতা করছে।

ইসির ব্যবহৃত ইভিএম

এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক সভায় ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে ধীরে চলার কথা বলেন।

পরিকল্পমন্ত্রী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আজকে নির্দেশনা দিয়েছেন, এটা ধীরে ধীরে ব্যবহার করতে হবে। আগে প্রশিক্ষণ নেন, শিখেন, শিখান; তারপরে ব্যবস্থায় যান। পর্যায়ক্রমে আস্তে আস্তে ব্যবহার করার জন্য তিনি বলেছেন।”

ইভিএমের ঘোরবিরোধী বিএনপি দাবি করেছে, প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকায় ইভিএম কেনার এই প্রকল্পে লুটপাট হবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, “তিনটি পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। যাতে কোনোভাবেই অপব্যবহার না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।”

ইভিএম ব্যবহারের আগে জনগণকে সচেতন করার উপর জোর দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “শহরের মানুষ আর গ্রামের মানুষ এক রকম না। গ্রামের মানুষ তো কেউ কেউ মনে করে যে মেশিনে যদি টিপ দেই, জায়গা জমি নিয়ে যাবে। এ ধরনের হাঙ্গামায় যাওয়ার এখন সময় নেই।”

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আরবান এলাকার মানুষজন শিক্ষিত, তারা জানবেন এ পদ্ধতি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়’। তিনি বলেছেন, লিমিটেড স্পেসে আরবান এলাকায় প্রথমে ব্যবহার করুন। এরপর গ্রাজুয়ালি সারা বাংলাদেশে আস্তে আস্তে এর বিস্তার করবে।”

“স্থানীয় নির্বাচনে এখন ব্যবহার হচ্ছে; জাতীয় নির্বাচনের জন্য আরপিও সংস্কার করতে হবে;  এরপর কমিশনই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে,” বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।