দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার পরিকল্পনা আরও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, “বাজার দর যাচাইয়ের কমিটি এখনও কাজ শেষ করতে পারেনি। এ কারণে আজকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটি আরও পর্যালোচনা করবেন। আগামী সপ্তাহে আমরা আশা করছি সোমবারের দিকে সভা বসবে, তখন কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে।”
মঙ্গলবার কমিশন সভায় নতুন করে প্রায় দু’লাখ ইভিএম কেনা এবং আগেরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্প উপস্থাপন করে ইসি সচিবালয়।
নির্বাচন ভবনে এ সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনারদের সামনে প্রস্তাবিত প্রকল্পের সার্বিক বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে ইসির কাছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদার কমিশন এসব ইভিএম কেনার প্রথম প্রকল্প নেয়। শেষ পর্যন্ত মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।
ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেড় লাখ ইভিএম দিয়ে ৭০-৮০টি আসনে ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে। ফলে দেড়শ আসনের জন্য নতুন ইভিএম কেনার বিকল্প নেই।
এ পরিস্থিতিতে ভোটের বছর খানেক আগেই নতুন ইভিএম সংগ্রহের কাজ শেষ করতে এখনই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, ইসির সপ্তম কমিশন সভায় নির্বাচনী ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘ইভিএমের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়।
“কমিশন দীর্ঘক্ষণ ধরে আলোচনা, পর্যালোচনা করেছেন এবং অনেকগুলো বিষয় দেখেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো নিয়ে কমিশন পরে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
মঙ্গলবারের সভাটি সিদ্ধান্ত ছাড়াই মুলতবি হলেও পরবর্তী কমিশন সভায় তা চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানান সচিব।
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, “আজকের সভাটি কমিশন স্থগিত করে পিছিয়ে দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে যে সভা হবে, তাতে সিদ্ধান্ত নেবেন উনারা (কমিশন)।”
প্রতিটি ইভিএমের ‘বাজার দর’ যাচাই করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করতেও নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
সচিব বলেন, “প্রতিটি ইভিএমের প্রাইস কত হতে পারে- এ বিষয়ে বাজার দর যাচাইয়ে আগে একটি কমিটি করা হয়েছিল। ওই কমিটি বাজার দর যাচাই করবে। পরে পরবর্তী সভাতে এটি তুলে ধরবেন এবং মাননীয় কমিশন পর্যালোচনা করে তারা ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন।”
প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় নিয়ে আগামী সপ্তাহে সভা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান সচিব।