ওই আইনজীবী কয়েক দফায় যৌতুকের মামলার আসামিকে স্থায়ী জামিনের প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে চার লাখের বেশি টাকা নেন।
Published : 17 Oct 2022, 12:00 AM
ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ভাঙিয়ে আসামিকে জামিনসহ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক আইনজীবী জামিন পেয়েছেন।
রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে গ্রেপ্তার আইনজীবী মো. জুয়েল মুন্সি সুমনকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন।
জামিন শুনানিতে জুয়েলের আইনজীবীরা দাবি করেন, তদন্ত না করেই এক আসামির শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে একজন আইনজীবীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো আইনসম্মত নয়।
তাদের ভাষ্য, “এটা কোনো বিচারও নয়। এটা অন্যায়।“
স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় মো. আবিরুল ইসলাম চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে জামিনের কথা বলে কয়েক দফায় মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছিল রোববার জামিন পাওয়া আইনজীবী জুয়েলের বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আইনজীবী হিসেবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি প্রতারণামূলকভাবে আবিরুলের কাছ থেকে টাকা নেন।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জুয়েলকে আটক করার পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর গত ১৩ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রোববার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক।
আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলার নথি থেকে জানা যায়, আবিরুলের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে যৌতুকের মামলা করেন তার স্ত্রী। এরপর গত ২৮ অগাস্ট আইনজীবী পরিচয়ে জুয়েল মুন্সি ফোন করে ওই মামলা থেকে আবিরুলসহ তার পরিবারের তিনজনকে বাদ দেওয়া বলে অবহিত করেন। এজন্য জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে টাকা দাবি করেন।
সেই অনুযায়ী বনানীর আরগিলা হোটেলে জুয়েলকে নগদ দেড় লাখ টাকা দেন আবিরুল বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ওইদিন মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের একটি কাগজও সরবরাহ করেন ওই আইনজীবী।
মামলার নথি অনুযায়ী, এরপর জামিন করানো ও ম্যাজিস্ট্রেটকে ম্যানেজ করাসহ স্থায়ী জামিন ও অন্যান্য কথা বলে কয়েক দফায় টাকা নেন জুয়েল।
রোববার ওই আইনজীবীর জামিন ও মামলা প্রসঙ্গে আবিরুল বলেন, “আমি ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম, যার প্রেক্ষিতে এ মামলা। আজকে তার জামিন হয়েছে সেটা জানি না।“