নবী এখন যাত্রাবাড়ী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় রিমান্ডে আছেন।
Published : 09 Jan 2024, 12:05 AM
বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীকে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে মানুষ মারার মামলায় রিমান্ডে নিতে চায় রেল পুলিশ।
ঢাকা জেলার রেল পুলিশের সুপার মো. আনোয়ার হোসেন সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নবী এখন যাত্রাবাড়ী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় রিমান্ডে আছেন। সেই রিমান্ড শেষ হওয়ার পর আমরা তাকে ট্রেনে আগুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করব এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়ে আসব।”
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরী গত শনিবার নবীকে যাত্রাবাড়ী থানার ওই মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান। সেই রিমান্ড শেষে এই বিএনপি নেতাকে মঙ্গলবার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমকতা এস আই আসাদুজ্জামান।
ট্রেন পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে হলে পরে তাকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করতে হবে। সেখানেই রিমান্ডের আবেদন করবে রেল পুলিশ।
এ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল বলেন, ঢাকা রেলওয়ে থানা পড়েছে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের এখতিয়ারে। সে কারণে ট্রেন পোড়ানোর মামলার নবীকে মঙ্গলবার ওই আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুরে ঢোকার আগে আগে আগুন লাগানো হলে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন পুড়ে মারা যান।৭ জনুয়ারি নির্বাচন ঘিরে বিএনপির ডাকা হরতালের আগের রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর সেই রাতেই ৬৬ বছর বয়সী নবী উল্লাহ নবীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে যাত্রাবাড়ী থানার পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
নবী যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। তাকে ছাড়াও যুবদলের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) এস এম নুরুল ইসলাম। সেখানে আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা হয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহম্মেদ বিশ্বাস আগুনে পুড়ে নিহত চারজনের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাবেয়া বেগম তাতে সম্মতি দেন।
মৃতদেহগুলো এতটাই পুড়ে গেছে যে সেগুলো দেখে পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি লাশের খোঁজে আসা স্বজনরা। এখন ডিএনএ পরীক্ষা করে তাদের পরিচয় শনাক্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পুরনো খবর