পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে এ দুইজনসহ ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
Published : 08 Jan 2023, 07:13 PM
‘আল-কায়েদার মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে’ বাংলাদেশে সশস্ত্র জিহাদ করার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ছয় আসামির মধ্যে দুইজন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ দুইজনের পাশাপাশি রিমান্ডে থাকা অপর চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এ মামলার তদন্ত করছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত ১ জানুয়ারি রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে এ ইউনিট।
তখন সিটিটিসি জানিয়েছিল উগ্রবাদের দীক্ষা নিয়ে ঘর ছাড়া এসব তরুণ জঙ্গিগোষ্ঠী ‘আল কায়েদার মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে’ কক্সবাজারের টেকনাফে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিল।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ঢাকার মহানগর হাকিম শফিউদ্দিন আসামি নাদিম শেখ এবং হাকিম রশিদুল আলম আসামি সাইদ উদ্দিনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেন। খাস কামরায় জবানবন্দি নেওয়া শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারকরা।
অন্য চার আসামি আব্দুর রব, সাকিব, শামীম হোসেন ও আবছারকে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাকিম মুহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
‘আল কায়েদায় অনুপ্রাণিত’ ছয় তরুণ রিমান্ডে
‘আল কায়েদায় অনুপ্রাণিত’ ছয় তরুণ গ্রেপ্তার
এসব তরুণের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছিল, “জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছে যে তারা সবাই রোহিঙ্গা সহযোগীদের সহায়তায় প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে জিহাদে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, যা দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন বা অস্বীকার করার শামিল।
“তাছাড়া তারা আল-কায়েদা ও টিটিপির (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান) সদস্যদের মদদে ও সহায়তায় বাংলাদেশে খিলাফত শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে জিহাদ করার জন্য প্রশিক্ষণের উদ্দেশে টেকনাফে হিজরত করেছিল বলেও স্বীকার করেছে।”