৭ বছর ধরে কারাগারে থাকা বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিবের বিরুদ্ধে মোট ৬৮টি মামলা আছে।
Published : 17 Aug 2023, 05:21 PM
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ সৈয়দ আরাফাত হোসেনের কাছে সাক্ষ্য দেন দুদকের এই উপ-পরিচালক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ দিন আসামিপক্ষ তাকে জেরা করেন। পরে বিচারক আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন।
আইনজীবী তৌহিদ বলেন, অন্য মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় দুদক আসলাম চৌধুরীর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দেয়। তিনি কারাগরে যান ২০১৬ সালে, আর দুদকের নোটিস পান ২০১৯ সালের ২৬ জুন।
“নোটিস আসামি পাননি। কেননা সেসময় তিনি অন্য মামলায় কারাগারে ছিলেন।”
গত ৮ জুন একই আদালত আসামি পক্ষের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়।
আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, আসলামের বিরুদ্ধে মোট ৬৮টি মামলা আছে। এর মধ্যে তিনটি বাদে সব মামলায় তার জামিন হয়েছে। গত ৭ বছর ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
২০১৬ সালে আসলামের সঙ্গে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির একটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। ওই বছরের ১৫ মে ঢাকার খিলখেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক আসলামকে।
সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরু
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ‘এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। পরে একে একে আরও অনেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দুদকও তখন আসলামের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার ঘোষণা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় সম্পদের হিসাব চেয়ে তাকে নোটিস দেওয়া হয় এবং তা না পেয়ে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।