সাত বছর ধরে কারাগারে থাকা আসলামের বিরুদ্ধে মোট ৬৮টি মামলা রয়েছে।
Published : 08 Jun 2023, 03:45 PM
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুদকের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন বৃহস্পতিবার আসলামের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ঠিক করে দিয়েছেন বিচারক।
আসামিপক্ষে আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, অভিযোগ গঠনের এই আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
এ মামলা নিয়ে আসলামের আবেদনে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট। সেই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিনও দেওয়া হয়েছিল। সে কথা জানানো হলে জজ আদালতও এ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছে। তবে আরও মামলা থাকায় তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
আসলামের অব্যাহতির আবেদনের শুনানিতে তার আইনজীবী বলেন, অন্য মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় দুদক তার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দেয়। তিনি কারাগরে যান ২০১৬ সালে, আর দুদকের নোটিস পান ২০১৯ সালের ২৬ জুন।
“হিসাব বিবরণী জমা দিতে প্রথমে ২১ দিন এবং পরে ১৫ দিন সময় দেয় দুদক। পরে আবারো আমরা সময় চাই । কিন্তু আর কোনো সময় আমাদের দেওয়া হয় নাই। অভিযোগপত্র হয়ে বিচারের জন্য মামলা আমলে নেওয়ার সময় আমার মক্কেল এ মামলা সম্পর্কে জানতে পারেন। যৌক্তিক করাণে আমরা সম্পদের বিবরণ দেওয়ার জন্য কোনো উদ্যোগ নিতে পারি নাই।”
আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, আসলামের বিরুদ্ধে মোট ৬৮টি মামলা আছে। এর মধ্যে তিনটি বাদে সব মামলায় তার জামিন হয়েছে। গত ৭ বছর ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
২০১৬ সালে আসলামের সঙ্গে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির একটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। ওই বছরের ১৫ মে ঢাকার খিলখেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক আসলামকে।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ‘এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। পরে একে একে আরও অনেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দুদকও তখন আসলামের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার ঘোষণা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় সম্পদের হিসাব চেয়ে তাকে নোটিস দেওয়া হয় এবং তা না পেয়ে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।