রোজিনার বিরুদ্ধে মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে

এই সাংবাদিক এদিন আদালতে হাজিরা দেন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2023, 02:09 PM
Updated : 6 April 2023, 02:09 PM

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি চুরির চেষ্টা অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে আরও সময় দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগশেন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি।

এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ মে নতুন দিন ঠিক করে দেন।

রোজিনা এদিন আদালতে হাজিরা দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী প্রশান্তি কর্মকার।

Also Read: ছয় দিন পর কারামুক্ত সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম

Also Read: সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেলেন ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড’

Also Read: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের

Also Read: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনা ইসলামকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে নথি চুরির চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন।

মামলায় রোজিনার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’র ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’ তার মধ্যে ‘কোভিড টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন।

রোজিনাকে গ্রেপ্তার করার পর তার প্রতিবাদ জানিয়েছিল সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সেই প্রেক্ষাপটে ছয় দিন পর জামিনে মুক্তি পান রোজিনা।

এরপর ২০২২ সালের ৪ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ রোজিনাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ রেখে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান সেই প্রতিবেদনে বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

তবে সেই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে মামলার বাদী শিব্বির আহমেদ ওসমানী নারাজি দেন। তাতে ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন পিবিআইকে নতুন করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।