সহযোগিতা ও সহমর্মিতায় ঈদ উদযাপনের আহ্বান কাদেরের

"দেশপ্রেম আর মানবতাবোধের বহ্নিশিখায় জেগে উঠুক প্রতিটি মানবহৃদয়,” শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন তিনি।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা শুক্রবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে। সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন তারা।

পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মধ্য দিয়ে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া বার্তায় তিনি বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এটি মুসলিম জাহানের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

“আমি এ পবিত্র ঈদে প্রিয় দেশবাসী তথা মুসলিম জনগণের প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা- ঈদ মোবারক। পবিত্র ঈদুল ফিতরের মহিমান্বিত আহ্বানে শান্তি-সুধায় ভরে উঠুক আমাদের এ জন্মভূমি। দেশপ্রেম আর মানবতাবোধের বহ্নিশিখায় জেগে উঠুক প্রতিটি মানবহৃদয়।”

কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে অতীতে বাংলাদেশ যেভাবে সঙ্কট পেরিয়ে আশার সুবর্ণ প্রদীপ জ্বালিয়েছে, একইভাবে বৈশ্বিক নানা সঙ্কট মোকাবেলা করে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।

“আসুন, মনের গহীনে আলো জ্বালিয়ে অমানিশার আঁধার দূর করি। সহমর্মিতার সহজাত বাঙালি চেতনায় জাগিয়ে তুলি নিজেকে, সমাজকে- সর্বোপরি আমাদের দেশকে। অপেক্ষা করি পরবর্তী সকালের বর্ণময় ঈদের জন্য।”

এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিকর ছিল দাবি করে তিনি বলেন, "ঈদের আগে গ্রামমুখী বাঁধভাঙা জনস্রোত দেখা গিয়েছে এবার। অনেকেই ঈদযাত্রা নিয়ে দুর্ভোগের আশঙ্কা করেছিলেন। তবে সকলের আন্তরিক প্রয়াস ও সহযোগিতায় সকল আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে এবারের ঈদ যাত্রা তুলনামূলকভাবে অনেক বারের চেয়ে স্বস্তিদায়ক হয়েছে।"

এই যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ওবায়দুল কাদের।

ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসা মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করার প্রয়াস অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।