তাদের মধ্যে ২০১ জনের বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
Published : 29 Dec 2023, 08:16 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভাঙায় এ পর্যন্ত ২৯৬ জনকে কারণ দর্শাতে বলেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার উপসচিব আব্দুছ সালাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রার্থী, জনপ্রতিনিধিসহ যে ২৯৬ জনকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে ২০১ জনের বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
এবার সবচেয়ে বেশি, ৮৩টি শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে ঢাকা অঞ্চলে। এছাড়া রংপুর অঞ্চলে ১৬টি, কুমিল্লায় ৪১টি, ফরিদপুরে ১৭টি, চট্টগ্রামে ২০টি, সিলেটে ১৪টি, বরিশালে ২২টি, খুলনায় ১৭টি, রাজশাহীতে ৩৪টি এবং ময়মনসিংহে ৩২টি শোকজ করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনেই প্রথমবারের মত ৩০০ আসনে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজদের নিয়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব কমিটিই এ পর্যন্ত ২৯৬টি শোকজ করেছে।
নোটিসের জবাব পাওয়ার পর অনুসন্ধান কমিটি ইসিতে প্রতিবেদন পাঠায়। সেই প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এক লাখ টাকা এবং বরগুনা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কমিশন।
এছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছে ইসি।
জানুয়ারির মধ্যে নয় লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করবেন, আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মো. আলা উদ্দিন আল মামুন জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওই নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। নির্বাচনে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৮৯৬ জন। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় এই সংখ্যা আরো বাড়তে বা কমতে পারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। আর ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন।
ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার। মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে স্কুল, কলেজের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেছে ইসি।