একই মামলায় দণ্ডিত ডিআইজি মিজানুর রহমান হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
Published : 07 Sep 2022, 07:18 PM
ঘুষ লেনদেনের মামলায় আট বছরের দণ্ড পাওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন না দিয়ে আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাই কোর্ট।
জামিন আবেদনের উপর শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে এনামুল বাছিরের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী, দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জামিন আবেদনের উপর শুনানি হয়, আমরা আমাদের দিক থেকে আইনি ব্যাখ্যা দিয়েছি। পরে আদালত জামিন মঞ্জুর না করে তা কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।”
গত ২৩ অগাস্ট এনামুল বাছিরকে জামিন দিয়েছিল বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ। কিন্তু তার মূল আপিল আবেদনের সঙ্গে জামিন আবেদন না থাকার বিষয়টি ধরা পড়লে পরদিন জামিন প্রত্যাহার করে নেয় আদালত।
ঘুষ লেনদেন: ডিআইজি মিজানের ৩ বছর সাজা, দুদকের বাছিরের ৮ বছর
এনামুল বাছিরের জামিন একদিন পর প্রত্যাহার
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এনামুল বাছিরের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে মামলায় তার বিরুদ্ধে ৮০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড স্থগিত করে রায় সংক্রান্ত বিচারিক আদালতের যাবতীয় নথি তলব করেছিল আদালত।
এর আগে এপ্রিলে একই মামলায় তিন বছরের দণ্ডিত পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জামিন দেয় হাই কোর্ট।
একটি মামলা থেকে বাঁচার আশায় দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। পরে তাদের দুজনকেই বরখাস্ত করা হয়।
ওই মামলার রায়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম দুইজনকে সাজা দেন।
রায়ে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬৫ ধারায় ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর এনামুল বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ৩ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি মুদ্রা পাচার আইনের ৪ ধারায় ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৮০ লাখ জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজা দেওয়া হয়।