সকালে চাঁদপুরের দিকে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও উপকূলীয় জেলা ভোলার দিকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
Published : 17 Nov 2023, 10:40 AM
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে সদরঘাট থেকে সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিউটিএ।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণার কথা জানিয়েছেন ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার নদীবন্দর সমূহকে তিন নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ কারণে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান ইসমাইল।
সদরঘাট থেকে সকালে চাঁদপুরের দিকে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও উপকূলীয় জেলা ভোলার উদ্দেশে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
অপরদিকে ঢাকার উদ্দেশে সকালে চাঁদপুর থেকে এমভি আফিয়া, এমভি সোনার তরী-৩, এমভি ঈদগল-৭, এমভি বোগদাদিয়া লঞ্চ ছেড়েছে। এরপর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে সব ধরনের লঞ্চ বন্ধ হয়ে যায় বলে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত নৌ পথ পরিদর্শক (টিআই) শাহ আলম জানান।
বরিশাল নদী বন্দরের কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগাম সতর্কতা হিসেবে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকুলের আরও কাছে এগিয়ে আসায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর মধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। মিধিলির কারণে দুপুর থেকে বাতাসের গতি বাড়বে। আর সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বাংলাদেশ অতিক্রম শুরু করবে।
বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। শক্তিসঞ্চয় করে সেটি শুক্রবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড়‘মিধিলিতে’ রূপ নেয়।