সুখ কমেছে বাংলাদেশে, জানাল ‘হ্যাপিনেস রিপোর্ট’

সুখের সূচকে গতবারের তুলনায় বাংলাদেশের অবনমন ঘটেছে ২৪ ধাপ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2023, 03:07 PM
Updated : 20 March 2023, 03:07 PM

বিশ্ব সুখ দিবস সামনে রেখে এবার বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ দিল ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট; জাতিসংঘের এ বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালে সুখ কমেছে দেশের মানুষের মনে।

জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক-এসডিএসএন রোববার এই বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশের অবনমন ঘটেছে ২৪ ধাপ।

২০১২ সাল থেকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক সুরক্ষা, কাঙ্ক্ষিত গড় আয়ু, সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা, মানবিকতা, দুর্নীতির ধারণা এবং সার্বিক দুর্দশা- এই সাত মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিচার করে একটি দেশের মানুষ কতটা সুখে আছে, তা বোঝার চেষ্টা করা হয় এ প্রতিবেদনে। আর সূচকে একটি দেশের অবস্থান চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘গ্যালপ ওয়ার্ল্ড পোল’ থেকে পাওয়া তথ্য।

সেই হিসেবে ১০ ভিত্তিক স্কেলে এবারের সূচকে বাংলাদেশের সুখের ঝুলিতে সংগ্রহ ৪ দশমিক ২৮২ পয়েন্ট, বিশ্বের ১৩৭ দেশের মধ্যে অবস্থান ১১৮ তম।

আগের বছর ১৪৬ টি দেশের মধ্যে ৫ দশমিক ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ছিল ১৪৬টি দেশের মধ্যে ৯৪তম অবস্থানে।

আর তার আগে, ২০২১ সালের প্রতিবেদনে ১০৪টি দেশের মধ্যে ৫ দশমিক ০২৫ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ১৪৯টি দেশের মধ্যে ১০১তম অবস্থানে ছিল।

 সুখী দেশের এই তালিকায় গত ছয় বছর ধরেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী ফিনল্যান্ড। এ বছর দেশটির ঝুলিতে সংগ্রহ ৭ দশমিক ৮০৪ পয়েন্ট। শীর্ষ পাঁচে পরের চারটি দেশ হল ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইসরায়েল ও নেদারল্যান্ডস।

১ দশমিক ৮৫৯ পয়েন্ট নিয়ে এ তালিকার সবচেয়ে অসুখী দেশ আফগানিস্তান, গতবারও তারাই সবচেয়ে বাজে অবস্থানে ছিল। পরের চারটি দেশ হল লেবানন, সিয়েরা লিওন, জিম্বাবুয়ে ও কঙ্গো।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি সুখে আছে নেপাল (৭৮তম, স্কোর ৫ দশমিক ৩৬০), পাকিস্তান (১০৮তম, স্কোর ৪ দশমিক ৫৫৫), শ্রীলঙ্কা (১১২তম, স্কোর ৪ দশমিক ৪৪২) এবং মিয়ানমার (১১৭ তম, স্কোর ৪ দশমিক ৩৭২); বাংলাদেশের চেয়ে বেশি অসুখী কেবল ভারত, ৪ দশমিক ০৩৬ স্কোর নিয়ে তালিকায় তাদের অবস্থান ১২৬তম

এবারের প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক জন হেলিওয়েল বলছেন, সুখী হওয়ার মত দুটো বিষয় এবারের প্রতিবেদনে এসেছে। এবার মানুষের মধ্যে উদারতার আর দানশীলতা দেখা গেছে মহামারীর আগের সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। আর মহামারীর তিন বছরে সুখের সূচকে বড় ধরনের বিপর্যয়ও দেখা যায়নি, বৈশ্বিক গড় মোটামুটি একই জায়গায় রয়েছে।