হাই কোর্ট তার প্রার্থিতা বাতিলে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়; ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আসেন রুহুল আমিন।
Published : 02 Jan 2024, 09:53 PM
দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে নোয়াখালী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিলে দেওয়া হাই কোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রুহুল আমিনের আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেয়।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
রুহুল আমিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও এ বি এম আলতাফ হোসেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া ও ইমাম হাছান।
খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করে নোয়াখালী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন খন্দকার রুহুল আমিন। তাকে প্রতীকও বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এরইমধ্যে রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি জানতে পেরে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান। তাতে সাড়া না পেয়ে ২০ ডিসেম্বর তিনি রিট আবেদন করেন।
শামীম আজিজ বলেন, “রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের বিশেষ শাখা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনে খন্দকার রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ মেলে। গত ২৭ ডিসেম্বর তার প্রার্থিতা বাতিলে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।”
হাই কোর্টের এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আসেন খন্দকার রুহুল আমিন। মঙ্গলবার সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে এদিনই রুহুল আমিনকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নোয়াখালীর সোনামুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন খন্দকার রুহুল আমিন। সেখান থেকে পদত্যাগ করে নোয়াখালী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কেনেন তিনি।
কিন্তু এক শতাংশ ভোটের জটিলতায় প্রাথমিক বাছাইয়ে তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে আপিল করে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন।