এবারে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ১৮.৭৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
Published : 21 Apr 2024, 05:52 PM
ঈদযাত্রায় যাওয়া আসায় দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ে এবারও যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও সরকারি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ থেকে এল দুই ধরনের তথ্য।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৮৭ জন কম বলে জানিয়েছে সরকারি সংস্থাটি। তবে গত বছরের তুলনায় এবারে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ১৮.৭৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
রোববার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, এবার ঈদ যাত্রায় ১৭ দিনে ২৮৬টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩২০ জন, আহত হয়েছেন আরও ৪৬২ জন।
বিআরটিএ প্রধান বলেন, “বিআরটিএর বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে একটি যানজট মুক্ত ঈদ যাত্রা উপহার দেওয়া সম্ভব হলেও দুটি বড় সড়ক দুর্ঘটনা এ সফলতাকে কিছুটা ম্লান করেছে।”
তবে আগের দিন কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে ৩৯৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৪০৭ জনের, আহতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৮ জন।
গত বছরও দুই সংস্থার হিসাবে পার্থক্য ছিল।
বিআরটিএর হিসাবে ২০২৩ সালে ঈদুল ফিতর বাড়ি যাওয়া ও ফেরার সময় ১৫ দিনে ২৫৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩৯ জনের প্রাণহানি ও ৫১০জন আহত হয়। তবে যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছিল মৃত্যুর সংখ্যা ৩২৩ আর আহতের সংখ্যা ৫৬৫।
ফরিদপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের ১৫ জন এবং ঝালকাঠিতে গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় প্রাইভেট কার ও ব্যাটারিচালিত অটো রিকশায় ট্রাক চাপায় ১৪ জনের প্রাণহানি নিয়েও কথা বলেন বিআরটিএ প্রধান।
দুর্ঘটনা ঘটানো দুটি গাড়ির কাগজপত্রই মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল জানিয়ে বিআরটিএ প্রধান বলেন, “তাদের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক স্থগিত করে মামলা করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে ১৪ মৃত্যু: প্রাইভেট কারেই এক পরিবারের ছয়জন নিহত
ফরিদপুরে দুর্ঘটনা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, এক পরিবারের পাঁচজন