বিচারপতিকে নিয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠার পর ব্যাখ্যা দিতে আদালতে ডাকা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের অবস্থান জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান বলেন, “আজ হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। এ কারণে তার বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়েছেন হাই কোর্ট।”
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে বলে কাজী মাইনুল হাসান জানান।
গত ১৫ অক্টোবর হাই কোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠার পর তার ব্যাখ্যা দিতে হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করে হাই কোর্ট। ৬ নভেম্বর তাকে হাজির হতে বলা হয়।
একই সঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ থেকে স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিব হাই কোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। নিম্ন আদালতের বিচারক থাকার সময়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে হাবিবুর রহমান হাবিব বলছেন, “তার (খালেদা জিয়া) একবার শাস্তি হল ৫ বছর জেল, সশ্রম কারাদণ্ড। আমি ওইদিন বলেছিলাম বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামান সাহেব, আপনার মা বেঁচে থাকলে মাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, মা, আমি একজন বয়স্ক মহিলাকে জেল দিয়ে আসছি, সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে আসছি তুমি কী বল? আপনার মা বলবেন, এই জায়গাতেই বলেছিলাম, আপনার মা বলবে ‘তুমি আমার সন্তান না, তুমি একটা কুলাঙ্গার। এতদিন তোমার জন্য গর্ববোধ করতাম, এখন আর গর্ব করি না, তুমি একটা কুলাঙ্গার সন্তান। তোমার মত সন্তান জন্ম না দেওয়াই উচিত ছিল।’ এত বছর বয়স্ক একজন মানুষ নিজে চলতে পারে না।”
আরেকটি ভিডিওতে হাবিবের দেওয়া বক্তব্যেও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সম্পর্কে ‘অবমাননাকর উক্তি’ এসেছে বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান জানান।
“শপথ করে বলে যেতে চাই, এই সরকার যেদিন ক্ষমতায় থাকবে না, ওই বিচারপতি আখতারুজ্জামান জীবিত থাকলেও তাকে মরতে হবে, মরে গেলেও কবর থেকে লাশ ওঠানো হবে।”