“আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তার করার পারমিশন কখনও দেওয়া হয়নি, আজকেও দেওয়া হয়নি এবং কোনো আইন দ্বারা সেটা দেওয়ার কোনো ক্ষমতা আমাদের নেই।”
Published : 25 Oct 2023, 03:59 PM
অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে কাউকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা আনসার বাহিনীকে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ নিয়ে ‘ভুল তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে মন্তব্য করে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, “এটা একটা মিস ইনফরমেশন, আপনাদের ভুল ধারণা। এই প্রশ্নটা ভুল ধারণার প্রেক্ষিতে করছেন।
“আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তার করার পারমিশন কখনও দেওয়া হয়নি, আজকেও দেওয়া হয়নি এবং কোনো আইন দ্বারা সেটা দেওয়ার কোনো ক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধির আওতার ভেতরে থেকে সমস্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে, এ হল মূল কথা।”
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আনসার ব্যাটালিয়ন বিল ২০২৩ সংসদে তোলা হয় সোমবার। বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে অপরাধীকে ‘আটক, দেহ তল্লাশি ও মালামাল জব্দের ক্ষমতা’ পাচ্ছে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা। পাশাপাশি বাহিনীতে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি উত্থাপন করলে তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সেটিকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
আনসার বাহিনীকে ‘গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার বিধান’ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ‘আপত্তি’ জানানো হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।
এই প্রস্তাবকে ‘ভয়াবহ দুশ্চিন্তার ও আতঙ্কের বিষয়’ হিসেবে বর্ণনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “পুলিশিং কিন্তু আলাদা জিনিস… এখানে সব কিছু কোড অব কনডাক্ট আলাদা, আইন আলাদা সবকিছু আলাদাভাবে পরিচালিত হয়। আনসারের কাজটা এমন না… তারা একটা ভিন্ন প্রতিষ্ঠান।”
তবে প্রস্তাবিত বিলের কোনোকিছু নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তার ঠিক করবেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া আইনের খসড়ায় কোনো শব্দ বা বাক্যের কারণে এমন প্রশ্ন উঠলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তা পরিশুদ্ধ করবেন। তাদের যে আইনটি আসছে, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষ পর্যায়ে এখানে (সংসদে) এসেছে।
“এটা আমাদের স্থায়ী কমিটিতে গেছে, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। সেখানে কোনো শব্দ, বাক্য যদি এ ধরনের প্রশ্নের অবতারণা করে, তবে সেগুলো কারেকশন হবে। এখানে প্রচলিত আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোনো বাক্য যদি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তাহলে সেটি তারা পরিশুদ্ধ করবেন।”
বিষয়টি নিয়ে ‘ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “যে কোনো বাহিনীকে প্রচলিত ফৌজদারি আইন মেনে কাজ করতে হয়। আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। এখানে আমি শুনতে পাচ্ছি অনেক জায়গায় প্রচারিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে আনসার পুলিশের ক্ষমতা নিয়ে যাচ্ছে, পুলিশের ক্ষমতা আনসার নিয়ে যাচ্ছে…।
“এগুলো প্রপাগান্ডা, সমস্ত মিস ইনফরমেশন। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা সবসম্য় বলি আমাদের দুটো ফোর্সই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সদস্য।”