“খুব শিগগির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে”, আশ্বস্ত করে বলেন তিনি।
Published : 21 Jul 2024, 09:09 PM
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলনে ‘অনুপ্রবেশ করে’ রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি ও ধর্মীয় উগ্রবাদীরা সহিংসতা ঘটিয়েছে বলে বাংলাদেশে বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিদেরকে জানিয়েছে সরকার।
গত ১৮ জুলাই কোটা আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রাণহানির পর সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা আগুন, পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি; যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরা ও মোহাম্মদপুরে নজিরবিহীন সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে পাঁচ দিন ছিল যুদ্ধ পরিস্থিতির মত। সেখানে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী পাঁচ দিনে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, অগ্নি সংযোগে কেবল বিদ্যুৎ খাতে ক্ষতির পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ভবন, বনানীর সেতু ভবন, মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আগুনে পোড়ানো হয়েছে দুই শতাধিক গাড়ি। হামলা হয় মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনেও।
এই সংঘাতমত পরিস্থিতিতে রোববার (২১ জুলাই) বিদেশি কূটনীতিকদেরকে যেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের বলেন, “সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার চেয়ে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ‘স্বাধীনতাবিরোধী ও রাষ্ট্র-বিরোধী শক্তি ও ধর্মীয় উগ্রবাদীরা অনুপ্রবেশ করে সহিংসতার ঘটনা’ ঘটিয়েছে।
“তাদের এলোপাতাড়ি হামলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টায় থাকা আইন প্রয়োগকারী শত শত সদস্য আহত এবং ‘কিছু’ নিহত হয়েছেন। এমনকি সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীরাও এতে রক্ষা পায়নি।”
কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েনের প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সরকার বাংলাদেশে থাকা বিদেশি নাগরিক ও কোমলমতি ছাত্রদের আশ্বস্ত করতে চায় যে, খুব শিগগির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
জাতীয় ডেটা সেন্টার ও অপটিক্যাল ফাইবারের ক্ষতিকে দেশব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন ঘটার কারণ হিসাবে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।
ধ্বংসযজ্ঞের স্থানে কূটনৈতিক কোরের সদস্যদের পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হতে পারে বলেও কূটনীতিকদের জানান তিনি।
মন্ত্রীর বক্তব্যের পর কূটনীতিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।