প্রকল্পের লক্ষ্য অনুন্নত এলাকায় নারী ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ঘটিয়ে মৃত্যুহার কমানো।
Published : 25 Jun 2024, 08:04 PM
দেশের পাঁচ জেলার নারী, শিশু ও কিশোরীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সহায়তা করবে কানাডা, ইউনিসেফ ও ইউএনএফপিএ।
কানাডার অর্থায়নে যৌথ অংশীদারত্বের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম, ভোলা, খাগড়াছড়ি, শেরপুর ও সুনামগঞ্জের ৬০ লাখ শিশু এবং প্রায় ২০ লাখ নারীর অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে জাতিসংঘের সংস্থা দুটি কাজ করবে।
ইউনিসেফ ও ইউএনএফপিএ মঙ্গলবার এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক ওই প্রকল্প অনুন্নত গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার গুরুতর ঘাটতি পূরণ, লিঙ্গ সমতা ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির বিষয়গুলোতে কাজ করার মাধ্যমে মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পে প্রজনন বয়সী ১৯ লাখের বেশি নারী (দুই-তৃতীয়াংশ কিশোরী) এবং নবজাতক ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুসহ প্রায় ৬০ লাখ শিশু যাতে তাদের অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা পায় তা নিশ্চিত করা হবে। গত এক দশকে অগ্রগতি সত্ত্বেও বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার এখনও উদ্বেগ হিসেবে রয়ে গেছে। এ ছাড়া এখনও দক্ষ ধাত্রী বা পরিচর্যাকারী ছাড়া বাড়িতেই ৩৫ শতাংশ শিশুর জন্ম হয়, যা মা ও নবজাতক উভয়ের জন্যই ঝুঁকি বাড়ায়।”
বাংলাদেশে কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলস বলেন, “এ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ জেলার মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী, বাজেট ও মানবসম্পদ নিয়ে পরিকল্পনা এবং সেবার মান উন্নত করতে কাজ করা হবে।”
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “এ প্রকল্প টেকসই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে এবং নারীর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এসডিজির মূল চালিকা শক্তিগুলোকে সরাসরি চিহ্নিত করবে।”
প্রতিটি গর্ভাবস্থা যাতে কাঙ্ক্ষিত এবং প্রতিটি প্রসবই নিরাপদ হয়, তা নিশ্চিত করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে জানান বাংলাদেশের ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লকহাস।
যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং যৌন, প্রজনন, মাতৃ, নবজাতক, শিশু ও কিশোরী স্বাস্থ্যের মান উন্নয়ন করা হবে।