শম্ভু ৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ১২৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তার এই আয় ‘জ্ঞাত উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ’।
Published : 29 Jan 2025, 05:33 PM
বরগুনা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও তার স্ত্রী মাধবী দেবনাথের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
এছাড়া একই অভিযোগে শম্ভুর ছেলে ও পুত্রবধূ সুনাম দেবনাথ ও কাপসিয়া তালুকদার এবং দুই মেয়ে শুল্কা দেবনাথ, মনীষা মুনমুনের সম্পদের তথ্য দাখিলেরও নোটিশ দিয়েছে দুদক।
বুধবার দুদকের উপ পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসামি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে তিনি দায়িত্বশীল পদে থেকে ৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ১২৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তার এই আয় ‘জ্ঞাত উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ’।
এছাড়া সাবেক এমপি শম্ভুর নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাব থেকে ‘সন্দেহজনকভাবে’ মোট ৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৭০২ টাকার লেনদেন করার তথ্য পাওয়া গেছে ।
সম্পদের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করাসহ তা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগে সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরেকটি মামলায় শম্ভুর সঙ্গে তার স্ত্রী মাধবী দেবনাথও আসামি হয়েছে।
এই মামলায় স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাধবীর বিরুদ্ধে ২ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৪০৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে, যার উৎস জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’।
এছাড়া তার নিজের নামে থাকা ৭টি ব্যাংক হিসাবে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ২৭৮ টাকা লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ ও তার স্ত্রী কাপসিয়া তালুকদারের সম্পদ বিবরণী তলব করেছে দুদক।
দুদক বলছে, বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুনাম ৯৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৩ টাকা ও কাসপিয়া ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা সম্পদ অর্জন করেছেন।
শম্ভুর দুই মেয়ে শুক্লা দেবনাথের বিরুদ্ধে ৬৮ লাখ ৯১ হাজার টাকার ও মনীষা মুনমুনের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করেছে দুদক।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত ২৫ অগাস্পে শম্ভুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে নামে দদুক।
শম্ভু গত তিন দশক ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে ছিলেন। বরগুনা-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
জেলার বিভিন্ন কাজে ‘অনিয়ম দুর্নীতি করে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন’ বলে অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের এই নেতার বিরুদ্ধে।
গত ১১ নভেম্বর শম্ভুকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করার তথ্য জানায় ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।