দেশটির রাজ্যসভায় এক প্রশ্নে এক কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কৃতি বর্ধন সিং।
Published : 28 Nov 2024, 09:36 PM
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুসহ সব নাগরিকের সুরক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের হওয়ার কথা রাজ্যসভায় তুলে ধরেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশনে এক লিখিত প্রশ্নোত্তরে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কৃতি বর্ধন সিং বলেন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘুসহ সব জনগণের জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।“
রাষ্ট্রীয় জনতা দল থেকে নির্বাচিত বিহারের রাজ্যসভা সদস্য অমরেন্দ্র দারি সিংয়ের এক প্রশ্নে সরকারের এমন উত্তর দিয়ে তিনি মন্দিরে হামলা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে তার দেশের কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন।
সংসদে উত্থাপিত প্রশ্নে এ ডি সিং জানতে চান, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ও দেবতার অপবিত্রতা ও ক্ষতির ঘটনা বেড়েছে কি না? বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টি সরকার উত্থাপন করেছে কি না? উত্থাপন করা হয়ে থাকলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং উদ্যোগ কী ছিল?
উত্তরে কৃতি বর্ধন সিং বলেন, বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে হিন্দু মন্দির ও দেবতার পবিত্রতা বিনষ্ট ও ক্ষয়ক্ষতির কিছু ঘটনার খবর হয়েছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। যার মধ্যে রয়েছে দুর্গাপূজার সময়ে তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা এবং সাতক্ষীরা যশরেশ্বরী কালী মন্দিরের চুরির ঘটনা।
“হিন্দু ও সব সংখ্যালঘুর সম্প্রদায়ের মানুষ ও তাদের উপসনাস্থলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে সরকার।”
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও জামিন না দেওয়ার ঘটনা নিয়ে দিল্লির উদ্বেগ প্রকাশ এবং এর প্রতিক্রিয়ায় ঢাকার কড়া ভাষায় জবাব দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
চিন্ময় দাশকে গ্রেপ্তারের পরদিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, বিষয়টি তারা ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে’ দেখেছে।
এ বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাল্টায় ভারত সরকারের বিবৃতিকে ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে তুলে ধরে বলে, বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, এই ধরনের বিবৃতি কেবল তথ্যের ভুল উপস্থাপনই নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার যে মেজাজ, সেটারও পরিপন্থি।
দিল্লির আহ্বানের বিপরীতে ঢাকা বলেছে, “দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতেও বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধসহ আট দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দিয়ে আসা চট্টগ্রাম পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় দাশকে গত সোমবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
ভারতের বিবৃতি 'তথ্যের ভুল উপস্থাপন, বন্ধুত্বের মেজাজের বিপরীত
চিন্ময় দাশকে গ্রেপ্তারে 'গভীর উদ্বেগ' ভারতের