রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, আমলাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার দেড় হাজার অতিথি আমন্ত্রণ পেয়েছেন সমাবেশে।
Published : 05 Jul 2024, 02:56 PM
জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ।
এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে মাওয়ায় যে সুধি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, তাতে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বিকাল ৪টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মাওয়া উত্তর থানা এলাকায় ওই সমাবেশে অংশ নিয়ে সেতু প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত ঘোষণা করবেন শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নকে স্মরণীয় করতে পদ্মাপাড়ে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, আমলাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার দেড় হাজার অতিথি আমন্ত্রণ পেয়েছেন সমাবেশে। এতে সভাপতিত্ব করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কয়েকদিন আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, "এ প্রকল্পে সব মিলিয়ে দেড় হাজার কোটি টাকার মত সাশ্রয় হচ্ছে।"
আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী সমাবেশে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু: স্বপ্ন থেকে বাস্তবের পথরেখা
গত ৩০ জুন শেষ হয় পদ্মা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের দীর্ঘতম সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর দুদিন পর সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে গত দুই বছর সেতুর উপর দিয়ে ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা।
এছাড়া প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানান।
৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মিত হয়েছে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৭ সালের ২৮ অগাস্ট পদ্মা সেতু প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একনেক। তখন প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:
সেতু দেখতে ঢল, পদ্মাপাড়ের বাসিন্দাদের খুশির একদিন
পদ্মা সেতু করতে গিয়ে যে 'মানসিক যন্ত্রণা' সইতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর সেতু কাজ পুরোদমে শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এই সময়ে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করা হয়। দায়িত্ব পায় নিউজিল্যান্ডভিত্তিক মাউনসেল লিমিটেড।
২০১০ সালের ১১ এপ্রিল মূল সেতুর দরপত্র আহ্বান করে সরকার। পরের বছর ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি রেলপথ যুক্ত করে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকায় পদ্মা বহুমুখী সেতু সংশোধিত নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক।
এরপর ২০১১ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের শুরুতে বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরে যায়।
সেই অভিযোগকে ভিত্তি ধরে সমালোচনা হয় সরকারের। যদিও পরে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়নি। কানাডার আদালতেও এই সংক্রান্ত মামলাটি প্রমাণ করা যায়নি।
২০১২ সালে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এবং ২০১৫ সালে পদ্মার মূল সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরনো খবর:
জীবনেও নোবেল পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা নাই: প্রধানমন্ত্রী
পদ্মায় নতুন স্বপ্নের উন্মোচন, 'নতুন ইতিহাস' লেখার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর