চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে এই কর্মকর্তাদের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠে।
Published : 01 Sep 2022, 11:59 AM
এক যুগ আগে ৮৫ জন উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে চাকরি পাওয়া এই কর্মকর্তাদের নিয়োগ ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মূল্যায়ন পরীক্ষায় বাতিল করা হয়। পরে প্রশাসিক আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশে তারা চাকরিতে পুনর্বহাল হন।
আপিল ট্রাইব্যুনালের ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের চারটি আপিল আবেদন মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার রায় দিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
এই রায়ের ফলে ওই কর্মকর্তাদের আর চাকরিতে ফেরার ‘সুযোগ থাকলো না’ বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।
অন্যদিকে চাকরিচ্যুত নির্বাচন কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, প্রবীর নিয়োগী, সালাহ উদ্দিন দোলন ও কামরুল হক সিদ্দিকী।
২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়।
চাকরি ফিরে পেলেন ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তা
চারদলীয় জোট সরকারের সময়ের এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক উঠলে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তাদের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাতে ৮৫ জন অনুত্তীর্ণ হলে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে পরে তারা প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। ওই আপিল মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দেয়।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এরপরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে।
দীর্ঘদিন পর গত রোববার রাষ্ট্রপক্ষের করা ওই আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল আদালতের আদেশ বাতিল করে রায় দিল সর্বোচ্চ আদালত।