সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ৯ নভেম্বর দিন রেখেছেন বিচারক।
Published : 07 Feb 2024, 11:26 AM
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম মঙ্গলবার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ৯ নভেম্বর দিন রেখেছেন তিনি।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুন, মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।
আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। সাখাওয়াত হোসেন পলাতক। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।
আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুরে তাকে ঢাকার মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ এ মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।
মাইন্ড এইড হাসপাতালের চিকিৎসক নুসরাত ফারজানাকে মামলায় এজাহারে আসামি না করলেও তিনি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন। পরে অভিযোগপত্রে তার নাম না আসায় বাদীপক্ষ আপত্তি তোলে।
এএসপি আনিসুলের পরিবারের ভাষ্য ছিল, ডা. নুসরাত ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, না হলে কেন তিনি আগেই জামিন নেবেন। এজন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসুলের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ।
পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর নুসরাতকে বাদ দিয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক এ কে এম নাসির উল্যাহ।
মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মারা যাওয়ায় এবং ডা. নুসরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সতত্যা না পাওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)