অবসরের আগে বঙ্গভবনে শেষবারের মত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
Published : 22 Apr 2023, 02:23 PM
বিশ্বের সংকট যে বাংলাদেশকেও স্পর্শ করছে, সে কথা তুলে ধরে বিত্তশালী ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে বঙ্গভবনে শেষবারের মত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বাসস জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি, তার সহধর্মিণী রাশিদা খানমসহ পরিবারের সদস্যরা শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, “দেশের বিত্তশালী ও সামর্থ্যবানদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
টানা দুই মেয়াদ দায়িত্ব পালন শেষে সোমবার অবসরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেদিন বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ অনুষ্ঠান হবে।
বাসস জানায়, বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা তার সঙ্গে ছিলেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, বিচারক, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, বিদেশি কূটনীতিক এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।
ইসলামের শিক্ষাকে ধারণ করে মানবসেবায় নিজেদের নিয়োজিত করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মুখে হাসি ফোটাতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
ধনী-গরিব নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব বিরাজ করছে। বাংলাদেশও এই ক্ষতিকর প্রভাবের বাইরে নয়। এমতাবস্থায় বিত্তশালীদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে হবে
“এই ঈদ-উল-ফিতরে সবার অঙ্গীকার হল ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সবার মুখে হাসি ফোটানো।”