“একুশে বইমেলার আমেজটা ফেব্রুয়ারি মাসের পরেও ধরে রাখার জন্য এই আয়োজন।”
Published : 11 Mar 2023, 08:43 PM
বসন্তের পড়ন্ত বিকালে তবলার তাল আর হারমোনিয়ামের সুরে পর্দা নামল গুলশান সোসাইটির তিন দিনের বইমেলার।
তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ মেলায় বই ছাড়াও পাঠক আর দর্শকদের জন্য ছিল কবিতা পাঠের আয়োজন, লাইভ জ্যাজ পারফর্মেন্স। গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে অনুষ্ঠিত এ মেলায় অংশ নেয় ২৫টির বেশি স্টল।
মেলার শেষ দিনে ‘পৃথিবীর পথে বাংলাদেশ: সাইকেলে আলাস্কা থেকে টরোন্টো’ বইয়ের লেখক মুনতাসির মামুনের সঙ্গে মঞ্চে আড্ডায় মেতেছিলেন এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার।
মঞ্চে নিজের বই নিয়ে আলোচনা করেন পুরস্কারজয়ী লেখক প্রামুদিথ ডি রুপাসিংহে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ের নাগরিক রোসিও রুইস বই মেলায় এসেছিলেন স্বামী-সন্তান নিয়ে। বললেন, বাচ্চাদের জন্যই বই কিনেছেন বেশি। মেলার আবহাওয়া, বিক্রয়কর্মীদের আন্তরিকতায় মুগ্ধতার কথাও জানালেন।
রুইসের স্বামী স্পেনের নাগরিক আলভারো কাসাসুস কাজ করছেন বাংলাদেশের মেট্রোরেল প্রকল্পে। হাসিমুখে তিনি বললেন, “বেশ ভালো লাগছে সবকিছু, আয়োজনটাও বেশ কৌতূহল উদ্দীপক।”
আয়োজক সংগঠনের প্রতিনিধি আলিফ ইমতিয়াজ বলেন, “গুলশান সোসাইটি এই নিয়ে তৃতীয়বারের মত এই আয়োজন করল। মূলত একুশে বইমেলার আমেজটা ফেব্রুয়ারি মাসের পরেও ধরে রাখার জন্য এই আয়োজন।”
বাতিঘর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী রবিউল ইসলাম জানালেন, এবারের বইমেলায় প্রকাশিত বইগুলোই গুলশান সোসাইটির বইমেলায় নিয়ে এসেছেন তারা। বাংলা ভাষার বইয়ের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে বিষয়ে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের।
তার ভাষ্য, বিদেশি বইয়ের মধ্যে পাঠকদের আগ্রহ পাওলো কোয়েলহোর লেখা বই নিয়ে; গ্রাফিক ইলাস্ট্রেটর বইয়ের প্রতিও আগ্রহ আছে গুলশানবাসীর।
বেঙ্গল বইয়ের মুনা রহমান বললেন, ইন্টারনেটের যুগেও যে মানুষ বই মেলায় আসছেন এবং বইয়ের সঙ্গে একটা সম্পর্ক ধরে রেখেছেন, প্রকাশক হিসেবে সেই বিষয়টাই বেশি অনুপ্রাণিত করছে তাদের।
মেলার শেষবেলায় তবলা আর হারমোনিয়াম নিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। শাস্ত্রীয় সংগীতের ছন্দে-তালে এবারের মত মেলার পর্দা নামে।