গত ১২ মে মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
Published : 26 May 2024, 06:42 PM
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
রোববার বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান জানান, এ বছর ২৮ হাজার ৩৫১ জন শিক্ষার্থী ৭৬ হাজার ৪২টি উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন চেয়েছে।
সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে সাধারণ গণিতে ৮ হাজার ২৯টি। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে জমা পড়েছে ৭ হাজার ৪৩১টি করে।
এছাড়া বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের খাতা পুনর্মূল্যায়ন চেয়েছে ৪ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষার্থী।
বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোর মধ্যে পদার্থ বিদ্যায় ৪ হাজার ৫৭৪টি, রসায়নে ৪ হাজার ৯৫৮টি ও জীব বিজ্ঞানে ৩ হাজার ৯২০টি ও উচ্চতর গণিতে ৩ হাজার ৯২০ টি খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জমা পড়েছে।
ব্যবসায় শিক্ষা শাখার বিষয়গুলোর মধ্যে হিসাব বিজ্ঞানে ২ হাজার ৩১৮টি, ব্যবসায় উদ্যোগে ২ হাজার ৭৪টি, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে ১ হাজার ৩১২টি আবেদন জমা পড়েছে।
মানবিক বিভাগে ভূগোলে ৩৭২, পৌরনীতিতে ৮৩৬, অর্থনীতিতে ৮২টি উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ বিজ্ঞানে ৪ হাজার ৬০০টি, কৃষি শিক্ষায় ১ হাজার ৫১৭টি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতিতে ৫ হাজার ৮০৫টি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে ৬২৮টি, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতায় ৭৩৭টি, আইসিটিতে ১ হাজার ২০৫ টি উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছে পরীক্ষার্থীরা।
ইসলাম ধর্মে ৩ হাজার ৭৪৩টি, হিন্দু ধর্মে ৮৭৫টি, বৌদ্ধ ধর্মে ১৬৭টি, খ্রিষ্টান ধর্মে ১০টি করে উত্তরপত্র মূল্যায়নের আবেদন করা হয়েছে।
গত ১২ মে মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার চার শতাংশ বাড়লেও জিপিএ- ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর পরিমাণ কমেছে।
গত বছর সর্বোচ্চ জিপিএ পেয়েছিলেন ১১ হাজার ৪৫০ জন পরীক্ষার্থী, এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন।
ফলাফল ঘোষণার সময় চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান জানান, করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হয়েছিল। এ বার সে ধরনের কিছু হয়নি। এটা জিপিএ ফাইভের সংখ্যা কমার কারণ হতে পারে।
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, উচ্চতর ও সাধারণ গণিতে তুলনামূলক খারাপ করায় জিপিএ- ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলেও মত দেন তিনি।
পরীক্ষার নম্বরে সন্তুষ্ট না হলে শিক্ষার্থীরা উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারেন। গত ১৩ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত আবেদনের সময় ছিল। এ সময়ে মধ্যে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করেছে।