কূটনীতিবিদ হিসেবে চাকরি জীবনের শেষ পদায়নে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন পিটার হাস।
Published : 01 Oct 2024, 08:50 PM
কূটনীতির ক্যারিয়ার থেকে অবসরে গিয়ে বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জিতে উপদেষ্টার চাকরি নিয়েছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে যাওয়া পিটার ডি হাস।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিসে ৩৩ বছরের কর্মজীবনের ইতি টানেন। তিন দিনের মাথায় ১ অক্টোবর তিনি জ্বালানি কোম্পানির উপদেষ্টা হিসাবে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করেন।
সরকারি চাকরি জীবনের শেষ পদায়নে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন পিটার হাস। পূর্বসূরীদের মত পিটার হাসও ছিলেন বাংলাদেশিদের কাছে বেশ পরিচিতি কূটনীতিবিদ।
যুক্তরাষ্ট্রের টেকসাস অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধিত এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশেও প্রাথমিক জ্বালানির ব্যবসায় যুক্ত। বাংলাদেশের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি মালিকানায় রয়েছে এক্সিলারেট এনার্জি।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পিটার হাসের যোগদানের খবর জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, হাস ওয়াশিংটন ডিসিতে এক্সিলারেট এনার্জির কার্যালয়ে স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে যোগদান করেছেন।
হাস তার স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মজীবনে মুম্বাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশনে কাজ করেছেন। মূলত বাণিজ্য বিষয়ক নানা দায়িত্ব পালন করে আসা হাস প্যারিসে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে যুক্তরাষ্ট্রের উপমিশন প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
বাংলাদেশে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ক বিভাগে উপ সহকারী মুখ্য সচিব ছিলেন এ কূটনীতিক।
এক্সিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবোস বলেন, “পিটার হাস এক্সিলারেট এনার্জি টিমে যোগদান করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি তার স্টেট ডিপার্টমেন্ট ক্যারিয়ারের সময়জুড়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নয়নে একজন দক্ষ অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করে গেছেন।
“ভূ-রাজনীতি এবং বাজার সম্পর্কেও তার সম্যক ধারণা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, তার নেতৃত্ব এবং অভিজ্ঞতা আমাদের টিমকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সারা বিশ্বে আমাদের গ্রাহকদের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা প্রদানে অসামান্য ভূমিকা রাখবে।”
নতুন চাকরির বিষয়ে পিটার ডি. হাস বলেন, “সারা বিশ্বের জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে মার্কিন বহুজাতিক এই কোম্পানি অসামান্য অবদান রেখে আসছে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে এক্সিলারেট এনার্জির এই যাত্রায় তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”