এই ঋণ বা এর সুদ অথবা এর কোনো অংশ আইসিবি পরিশোধে অসমর্থ হলে সরকার যথানিয়মে তা পরিশোধ করবে।
Published : 13 Nov 2024, 11:08 PM
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবিকে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়, যে ঋণের জামিনদার হয়েছে সরকার।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সই করেছেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু ইউছুফ।
তবে এখন পর্যন্ত টাকা ছাড় করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর চার কর্মদিবসে প্রায় আটশ পয়েন্ট সূচক বাড়লেও এরপর থেকে টানা দরপতন চলছে। বড় মূলধনি কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও শতাধিক কোম্পানির দর ৫০ শতাংশ বা আশেপাশে, এমনকি এর চেয়ে বেশি কমে গেছে।
বিনিয়োগকারীরা অর্থ হারিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফেও বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে একটি হলো সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটিকে বাজারে নতুন করে বিনিয়োগ করতে অর্থ সহায়তা দেওয়া।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে এবং উচ্চহার সুদে গৃহীত তহবিল পরিশোধের মাধ্যমে নিজস্ব আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ করবে আইসিবি।
এই ঋণ বা এর সুদ অথবা এর কোনো অংশ আইসিবি পরিশোধে অসমর্থ হলে সরকার যথানিয়মে তা পরিশোধ করবে বলেও উল্লেখ আছে এতে। এই গ্যারান্টির মেয়াদ ঋণ দেওয়ার তারিখ থেকে ১৮ মাস বলবৎ থাকবে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে যে মুনাফা দেয়, সেখান থেকে অপরিশোধিত বা বকেয়া ঋণ বা ঋণের উপর ধার্য সুদ সমন্বয় করা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইসিবিকে টাকা প্রদান করার সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। দ্রুতই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”