কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বিনিয়োগও চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
Published : 23 Apr 2024, 07:57 PM
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নিতে কাতারের আমিরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার বঙ্গভবনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
বঙ্গভবন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন দুপুরে বঙ্গভবনে কাতারের আমির ও তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিনিয়োগের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে জ্বালানি, যন্ত্রাংশ, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে কাতারের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “কাতার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। আমিরের এ সফর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি, নিরাপত্তা ও আইটিসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ায় রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তার আশা, আগামীতে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহ করায় কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ভবিষ্যতে জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে কাতারের সহযোগিতা বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সফরের শেষ দিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক এবং পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন কাতারের আমির। এরপর রাষ্ট্রপতির আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন তিনি।
রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা ও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ ভোজে অংশ নেন। কাতারের আমিরের সম্মানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
প্রায় ২২ ঘণ্টার সফর শেষে পরে মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা ছাড়েন কাতারের আমির। এখান থেকে তার নেপাল যাওয়ার সূচি রয়েছে।