“সম্প্রতি বিভিন্ন ক্যাম্পাসে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে, যা কাম্য নয়,” বলেন তিনি।
Published : 20 Feb 2025, 01:22 AM
দেশের কল্যাণে ছাত্রদের ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ‘পেশীশক্তি নির্ভর’ ছাত্র রাজনীতির অবসানে জোর দিয়ে তিনি বলেন, “ছাত্রদের ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে এবং দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। সম্প্রতি বিভিন্ন ক্যাম্পাসে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে, যা কাম্য নয়।”
বুধবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘তারুণ্যের উৎসবের’ সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরের পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়; এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
একপর্যায়ে সংঘর্ষ ক্যাম্পাসের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়।
সংঘর্ষের ঘটনার পর কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়।
ওই ঘটনা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদল একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। বুধবার পিআইবিতে ‘তারুণ্যের উৎসবের’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ক্যাম্পাসে অস্থিরতার ঘটনার প্রসঙ্গ টানেন নাহিদ।
তিনি বলেন, “যে তরুণরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে সেই তরুণদের প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন। তারুণ্যের শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
“গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, আগামী অন্তত দুই দশক তারা বাংলাদেশকে প্রভাবিত করবে। আগামীর বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, তা অনেকটাই তরুণদের ওপর নির্ভর করবে। যে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দল তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করবে, তারাই সফলতা পাবে।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের নানামুখী কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তরুণদেরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে।
“খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তারুণ্যের উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের আদলে তরুণদের জন্য ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন উৎসব আয়োজন করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা পর্ব শেষে তারুণ্যের উৎসবের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।