১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। প্রতিবছর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।
Published : 21 Nov 2024, 01:06 PM
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। প্রতিবছর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।
দিবসটি উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এবং সরকার প্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে পৌঁছালে তিন বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।
বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এসময় সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। পরে রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণ চত্বরে রাখা পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সকাল সোয়া ৮টার দিকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় গার্ড অফ অনার দেয়। প্রধান উপদেষ্টাও পরে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
পরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে দেশের সকল সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি শেষে তিন বাহিনী প্রধান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিকালে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। বরাবরের মতই সেনাকুঞ্জের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন।