যৌন নির্যাতন ও টিজিং বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবিও করেছেন দলটির নেতারা।
Published : 11 Mar 2025, 12:44 AM
দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে খেলাফত মজলিস দ্রুত বিচার আইনে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে।
সোমবার দলের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
তারা বলেন, ‘‘দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। সম্প্রতি মাগুরায় এক শিশুকে ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটেছে তা নৃশংসতা ও বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আলেফ নামে র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক বন্দির স্ত্রীকে ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে তার যথাযথ তদন্ত করতে হবে।
‘‘আমরা সরকারের কাছে দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে এই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি নারীর প্রতি শ্লীলতাহানি ও টিজিং বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।”
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪০ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার তথ্য তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালে নারী ও শিশু ধর্ষণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪০০টি। ধর্ষণের পর হত্যা ও আত্মহত্যা করেছে প্রায় ৪৫ জন নারী-শিশু।
খেলাফতে মজলিশের নেতারা বলেন, ”ইসলামে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তা জনসম্মুখে কার্যকর করার বিধান রয়েছে। ইসলাম একদিকে নারীকে হিজাব ও শালীনতার সাথে ঘরের বাহিরে চলাফেরার নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে পুরুষকে দৃষ্টি সংযত ও যৌনাঙ্গ হেফাজত রাখতে নির্দেশ দেয়। বিবাহ ব্যবস্থাকে সহজ করার মধ্য দিয়ে অশ্লীলতার সকল পথ রুদ্ধ করতে বলেছে।
‘‘মূলত ইসলামী এসব অনুশাসন রাষ্ট্রে যথাযথ বাস্তবায়িত না থাকার কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা আজ বেড়েই চলেছে।”
বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণ নির্মূলে শিক্ষাব্যবস্থার সর্বস্তরে নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে মনে করেন খেলাফত মজলিশের এই দুই নেতা।