জাতিসংঘের সংস্থা দুটি মনে করে, সাফল্য থাকলেও বাংলাদেশ এখনো বাল্যবিয়ে প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি।
Published : 15 Dec 2024, 01:22 AM
বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে কমাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল ইউএনএফপিএ ও শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ।
শনিবার সংস্থা দুটি এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে একই সঙ্গে বাল্যবিয়ে নিরসনে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেছে।
গত ৮ থেকে ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন সংস্থা দুটির বাল্যবিয়ে মোকাবিলাবিষয়ক বৈশ্বিক প্রকল্পের (জিপিইসিএম) পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধিরা।
এ সফরের কথা তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জিপিইসিএমের পরিচালনা কমিটি কিশোরীদের ক্ষমতায়ন ও সামাজিক সুরক্ষা জোরদারে সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
“তারা বাল্যবিবাহ নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার (এনএপিইসিএম) ওপর অগ্রাধিকার দিয়েছে। পর্যাপ্ত তহবিল ও শক্তিশালী আইনি কাঠামো নিশ্চিতের পাশাপাশি এই কর্মপরিকল্পনা সুসংহত করা এবং তাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যাতে জোরালো বার্তা থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি হিসেবে এখনো রয়ে গেছে বাংলাদেশ। বাল্যবিয়ের হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও এখনো ৫১ শতাংশ কিশোরীর ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
“বাল্যবিবাহ কন্যাশিশুদের শৈশব কেড়ে নেয় এবং তাদের উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলে। যাদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে হয়, তাদের ঘরে নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং পড়াশোনাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।”
পাঁচ দিনের সফরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্থানীয় নেতা এবং বাল্যবিয়ে প্রবণ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্লোবাল প্রোগ্রামের চেয়ার সীমা সেন গুপ্ত বলেন, “জিপিইসিএমের পরিচালনা কমিটি বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে নিরসনের প্রচেষ্টা দেখে খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশ বাল্যবিয়ে নিরসনের বৈশ্বিক উদ্যোগের সামনের কাতারে রয়েছে।
“অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও সুশীল সমাজের শক্তিশালী সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ দেখিয়েছে, চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব।”