মামলায় ‘হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
Published : 23 May 2024, 05:33 PM
ভারতে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে ডরিনের করা শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলার এজাহার আদালতে এলে তা গ্রহণ করে এই নির্দেশনা দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহবুবুল হক।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন।
এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। বুধবার সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পরে বলেন, আনারকে কলকাতার ওই বাসায় ‘পরিকল্পিতভাবে খুন’ করা হয়েছে। তবে তার মরদেহ এখনও পাওয়া যায়নি।
বুধবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,ভারতীয় পুলিশের কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য পওয়ার পর বাংলাদেশের পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং যেটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে খুনিরা বাংলাদেশের বলে তারা জানতে পেরেছেন।
ওই দিন সন্ধ্যায় আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে তার বাবাকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আসামি হিসেবে সেখানে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এজাহারে বলা হয়েছে, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সংসদ সদস্য ভবন এলাকার ৫ নম্বর ভবনের যে ফ্ল্যাটে এমপি আনার সপরিবারে থাকতেন, ৯ মে বিকালে সেখান থেকে ঝিনাইদহে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। ১১ মে বিকালে ভিডিও কলে কথা হয় মেয়ে ডরিনের সঙ্গে, তখন বাবার কথাবার্তা তার কাছে অসংলগ্ন মনে হচ্ছিল।
পরে বারবার ফোন দিয়েও আর বাবার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ডরিন।
“১৩ মে তার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামা নামে এক আত্মীয়ের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ আসে, যার ভাষা ছিল এমন- ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সাথে ভিআইপি আছে।’ আমি অমিত শাহর কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।”
পরে আরও মেসেজ আসে, যা তার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা পাঠিয়ে থাকতে পারে বাদীর অভিযোগ।
এজাহারে বলা হয়, খোঁজ-খবর করে কোথাও না পেয়ে কলকাতায় গোপাল বিশ্বাস নামে এমপি আনারের এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে দিয়ে ১৮ মে বারানগর থানায় জিডি করান বাদীর পরিবার। পরে তারা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারেন, তাকে ‘অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণ’ করেছে।