এই মার্কেটে পানির উৎস নেই। ঢোকার পথটিও খুবই সরু।
Published : 13 Apr 2023, 09:09 PM
দুই দশক আগে নির্মিত ঢাকার গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী একাধিক বাহিনীর সদস্যরা জরিপে চালিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানান।
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকার মার্কেটগুলো জরিপের যে কাজ শুরু করেছিল ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারি সংস্থাগুলো, তার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটে যান তারা।
গুলিস্তানে আন্ডার পাসের সঙ্গে তৈরি ভূগর্ভস্থ এই মার্কেট মোবাইল মেরামত, মোবাইলের খুচরা যন্ত্রাংশ ও সস্তা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জন্য পরিচিত। এখানে দেড়শর মতো দোকান রয়েছে।
পাতাল মার্কেট জরিপ শেষে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের জোন-১ এর উপসহকারী পরিচালক বজলুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, এই বিপণি বিতানটি অগ্নিকাণ্ডের দিক থেকে অতি-ঝুঁকিপুর্ণ একটি স্থাপনা। গত এক মাসে তারা ঢাকা জোন-১ এলাকায় যেসব মার্কেট ও বহুতল ভবন পরিদর্শন করেছেন তার সবগুলোইন ঝুঁকিপূর্ণ, এগুলোর মধ্যে নয়টি ছিল অতি ঝুঁকিপূর্ণ।
একথা বলার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস থেকে বারবার বলা হচ্ছে বিপণি বিতানগুলোর নিচে যেন পানির একটি রিজার্ভার থাকে। এখানে সেগুলো নেই, অগ্নিনির্বাপণের আধুনিক কোনো সরঞ্জামই নেই।
“এখানে পানির কোনো উৎস নেই। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঢোকার পথটিও খুবই সংকীর্ণ, পানি পৌঁছানোর ব্যবস্থা খুবই দুরূহ। এ ছাড়া ফায়ার ডিটেক্টর ও অ্যালার্ম সিস্টেম নেই। কিছু ফায়ার এক্সটিংগুইশার পাওয়া গেলেও এগুলোর কোনোটি মেয়াদোত্তীর্ণ, কোনোটি অকার্যকর।”
এই মার্কেটের ভেতরে বাতাস চলাচলের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ বলছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বজলুর। সরু সিঁড়িগুলোতে আবার দোকান বসার বিষয়টিও দেখান তিনি।
তিনি বলেন, দুই বছর আগে এই পাতাল মার্কেট পরিদর্শন শেষে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে প্রতিবেদন দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এবার বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট চিহ্নিত করতে জোরেশোরে নেমেছে সরকারি সংস্থাগুলো।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলছেন, অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে থাকা ঢাকার কিছু বিপণি বিতান ঈদের পর বন্ধ করে দেওয়া হবে।