জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হবে বলে জানান পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
Published : 04 Mar 2024, 05:49 PM
দেশের নদনদী রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চেয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নদী রক্ষায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি বছরে অন্তত একটি সভাও যেন হয়, তিনি সেই আহ্বানও রেখেছেন।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নৌপরিবহন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি নদীর রক্ষার জন্য আমাদের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কমিটি আছে, এই কমিটিগুলো গঠন করে বছরে দুটি না হলেও যে একটি সভা করা হয়। এ কমিটিগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত এবং নদীগুলো রক্ষার সঙ্গে কিন্তু আমাদের জলবায়ু-পরিবেশ সবকিছু চলে আসে। কাজেই এই নদী রক্ষার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতকাল একটি নির্দেশনা দিয়েছেন, যে প্রকল্পগুলো আছে সেই প্রকল্পগুলোর পরিচালক থাকে, এই পরিচালকদের বাইরেও জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় প্রশাসন এগুলো যেন দেখাভাল করে। প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে মাঠ প্রশাসনেরও মতামত নেওয়া- এই মর্মে মন্ত্রিপরিষদ সচিবও একটা মতামত দিয়েছেন, আমরা তাদের সঙ্গে একমত হয়েছি।”
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়ন তো আর ডিসিরা করে না, প্রকল্প দেখভাল করার একটা দায়িত্ব দেওয়া, স্থানীয় পর্যায়ে অনেক কাজ থাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের, প্রজেক্টগুলো যেন নজরদারিতে রাখে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো রকম দুর্বলতা দেখাচ্ছে কিনা, এটা স্থানীয় প্রশাসন যেন দেখভাল করে।”
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এটা যেহেতু প্রধানমন্ত্রী রংপুর গিয়ে ২০২৩ সালের ২ অগাস্ট প্রায় ১০ লাখ মানুষের সামনে বলেছেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে, তার মানে এটা বাস্তবায়ন হবে।”
এসময় পাশে থাকা পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, “আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।”
জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হবে
জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হবে বলে জানান পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
তিনি বলেন, “আজকের সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা ২০টি প্রস্তাবনা দিয়েছেন। তবে প্রস্তাবনা পাঠালেই তা নিয়ে কাজ করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হলো ৫০ কোটি টাকার উপরে কোনো প্রকল্প আসলে সেটার সমীক্ষা করা লাগে। এরপর আমরা এলাকাবাসীর দাবি ও নদী ভাঙ্গনসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করি।
“প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসনকে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে করে অবৈধ নদী দখল রোধ করা যায়। এছাড়া কাজের গতিও বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি প্রকল্প দেখভালের জন্য একটি টিমও তৈরি করা হয়, যারা আমাদের রিপোর্ট দিয়ে থাকেন। আশা করছি এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্য, তা বাস্তবায়িত হবে।”