“আগামী সপ্তাহে বা সমুদ্র শান্ত হলে সহসাই তাদের পাঠানো হবে,” বলেন মন্ত্রী
Published : 02 Apr 2024, 11:20 PM
সংঘাতের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সশস্ত্র বাহিনীর ১৮০ সদস্যকে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি এবার দেশটিতে থাকা ১৭০ বাংলাদেশিকে ফেরানোর কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মিয়ানমারের ১৭৭ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য ও পরবর্তীতে তাদের তিনজন সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের সাথে আলোচনায় মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে।
“তারা নৌপথের প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা এ সপ্তাহেই তাদের ফেরত পাঠাবো আশা করছিলাম। কিন্তু সমুদ্র অনুকূলে না থাকায় আগামী সপ্তাহে বা সমুদ্র শান্ত হলে সহসাই তাদের পাঠানো হবে।”
মন্ত্রী বলেন, “পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারে আটকা পড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সেটিতেও তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।”
দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।
তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
এরপর ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৯ জন সদস্য। তাদেরকে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ ব্যাটালিয়নে রাখা হয়। এরপর ৩০ মার্চ ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন মিয়ানমারের তিন সেনা সদস্য।
এই ১৮০ জনকে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকেপড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনার খবর মঙ্গলবার দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ১৭০ জনের মত বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে গিয়ে আটকা পড়েছেন। তাদের কেউ জেলে আছেন এবং কারও বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এর মধ্যে কেউ কেউ মাছ ধরতে গিয়েও মিয়ানমার সীমান্তে ঢুকে আটক হয়েছিলেন।
'নিজেদের আমলের দুর্নীতি ঢাকতেই বিএনপির এত কথা'
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর তোলা দুর্নীতির অভিযোগ এবং ‘দেশ ভিক্ষুকে পূর্ণ’ বলে তার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন হাছান মাহমুদ।
এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও মানি-লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই পর্যন্ত এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে, আর তার ছোট ভাই, অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র কোকোর পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
“শুধু তাই নয়, তারা ক্ষমতায় থাকতে পরপর পাঁচবার দেশ বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে -এসব ঢাকতেই তাদের এতো কথা।”
বিএনপির নেতাদের মধ্যে কথা বলার ‘প্রতিযোগিতা’ আছে মন্তব্য করে হাছান বলেন, “তাদের মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব আবার মঈন খান সাহেবের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতা এসব অবাস্তব কথা বলার আরেক কারণ।
“এর মধ্যে রিজভী সাহেবের কথা এত অশালীন ও বাস্তবতাবিবর্জিত যে মনে হয় তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসা প্রয়োজন। ড্যাব না পারলে স্বাচিপের ডাক্তারেরা চেষ্টা করতে পারে।”