তবে এখন পর্যন্ত দেশের সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Published : 26 Sep 2024, 05:54 PM
এই আশ্বিনে টানা দুদিনের এই বৃষ্টিতে তিস্তাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের নদীর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এর ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দেশের সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের কোনো নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে না বইলেও ওই সময় ১১৬টি স্টেশনের মধ্যে ৭৬টি পয়েন্টে পানি বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে। েআর কমছিল ৩৩ পয়েন্টে এবং অপরিবর্তিত ছিল সাত পয়েন্টে।
আগেরদিন ১১৬টি স্টেশনের মধ্যে ৪৯ পয়েন্টে পানি বাড়ছিল, আর কমার প্রবণতা ছিল ৫৯ পয়েন্টে। এসময় অপরিবর্তিত ছিল আট পয়েন্টে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। অন্যদিকে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগামী দুইদিন রংপুর বিভাগ ও এর সংলগ্ন উজানে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে।
এর ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি এ সময়ে দ্রুত বাড়তে পারে। তবে পরবর্তী একদিনে নদীগুলোর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আগামী দুইদিন লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানিতে চরাঞ্চল ও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
আর আগামী তিনদিন কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রংপুর বিভাগের করতোয়া, আত্রাই, টাঙ্গন, পূণর্ভবা, ইছামতি-যমুনা ও যমুনেশ্বরী নদীর পানি বাড়ছে। আগামী দুইদিন রংপুর বিভাগের এসব নদীর পানি বেড়ে পরবর্তী একদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বুলেটিনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী নদীর পানিও বাড়ছে, ফেনী নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি কমছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিনদিন চট্টগ্রাম বিভাগ ও এর সংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকায় নদীর পানি কমতে পারে।
আর সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বুলেটিনে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগ ও এর সংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে। এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ধীর গতিতে বাড়তে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং পরবর্তী ২ দিনে নদীগুলোর পানি কমতে পারে।
মনু খোয়াই, ধলাই, সারিগোয়াইন ও সোমেশ্বরী নদীর পানিও বাড়ছে, অন্য দিকে যাদুকাটা ও ভুগাই-কংশ নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের এসব নদীর পানি বাড়তে পারে, তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিনদিন গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে পারে।
বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় বা জোয়ারভাটা প্রবণ নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বুলেটিনে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় তৈরি লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে ভারি বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। এর ফলে পরবর্তী তিনদিন এ দুই বিভাগের উপকূলীয় নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার হতে পারে।
আর দেশের সব প্রধান নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।