“পিডিবির কাছে আমাদের যে ৮০ কোটি ডলার পাওনা হয়েছে, সেটি দ্রুত মিটিয়ে দিতে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
Published : 10 Sep 2024, 08:03 PM
বিদ্যুৎ দেওয়া বাবদ পাওনা টাকা পরিশোধে হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি লিখেছেন ভারতের শিল্পপতি গৌতম আদানি।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে বকেয়া প্রায় ৮০ কোটি ডলার দ্রুত পরিশোধ করে নির্বিঘ্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
দ্য ইকোনমিক টাইমস সোমবার লিখেছে, গৌতম আদানি চিঠিতে লিখেছেন, “ঋণদাতারা আমাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করার মধ্যেও বাংলাদেশের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে যাচ্ছি। এ অবস্থায় পিডিবির কাছে আমাদের যে ৮০ কোটি ডলার পাওনা হয়েছে, সেটি দ্রুত মিটিয়ে দিতে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস দ্য ইকোনমিক টাইমসকে উদ্ধৃত করে একটি খবর প্রকাশ করেছে।
তাতে বলা হয়েছে, চিঠিতে ইউনূসের প্রতি আদানি লিখেছেন, “নিয়মিত বিলের নিয়মমাফিক পাওনা পরিশোধের জন্য আমরা অনুরোধ করছি, যাতে আমরা (বিদ্যুৎ) সরবরাহের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারি। প্রতিমাসেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বকেয়া চাপ তৈরি হচ্ছে।”
বিদ্যুৎ সরবরাহের আট-নয় মাসের বকেয়া বিল জমে যাওয়ার পর তা বাংলাদেশের কাছ থেকে বুঝে পেতে এমন পদক্ষেপ নিলেন গৌতম আদানি।
ভারতের বিতর্কিত এই শিল্পপতির মালিকানাধীন বহুজাতিক কোম্পানি আদানি গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ঝড়খণ্ড রাজ্যের গড্ডায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির উদ্দেশ্যে ১ দশমিক ৬ গিগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে। তার আগে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়, যে চুক্তি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।
আদানির কাছ থেকে ‘বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি’ নিয়ে দেশে-বিদেশি খবরও হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নিম্নমানের কয়লা কিনে বাংলাদেশের কাছ থেকে আদানির বেশি দাম আদায় করার অভিযোগও রয়েছে।
এ অবস্থায় গড্ডা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বাংলাদেশর কাছে প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওনা জমে গেছে আদানির।
গত জুন থেকে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ সঞ্চালন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ পাঠাচ্ছে আদানি।
মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠিতে আদানি লিখেছেন, আধুনিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন গড়ে তুলতে তাদের ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হয়েছে।
“আমরা বলতে চাই, আপনার দেশের বিদ্যুৎ নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত থাকবে।”
চিঠিতে আদানি লিখেছেন, “রূপচাঁদা, মেইজান ও ফরচুনের মত তেল ও চালের ব্র্যান্ডের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রেও অবদান রাখি।”
এই কাজে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে যে সমর্থন ও সহযোগিতা তারা পেয়ে থাকেন, তার প্রশংসা করেন তিনি।