একই আদালত কুমিল্লা-১ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার স্ত্রীর ৪ দশমিক ৭৫ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে।
Published : 16 Apr 2025, 05:49 PM
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় রাজশাহী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী, তার স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর ২৮ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
এছাড়া তাদের ৬৮ ব্যাংক হিসাবের ৪ কোটি ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৭৭ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালত তাদের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদকের পক্ষে কমিশনের সহকারী পরিচালক জিন্নাতুল ইসলাম সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
এর মধ্য- ওমর ফারুকের সাড়ে ১৫ বিঘা জমি ও ৫৭ ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ১১০ টাকা রয়েছে। আর তার স্ত্রী নিগার সুলতানার ১৩ বিঘা জমি, ১১ ব্যাংক হিসাবের ৬০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৫ টাকা।
দুই আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে এই দম্পতির বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
সুবিদ আলীর স্ত্রীর জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
কুমিল্লা-১ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার স্ত্রী মাহমুদা আখতারের নামে গাজীপুর, কুমিল্লা ও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় থাকা ৪ দশমিক ৭৫ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
এছাড়া তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ১২টি হিসাব অবরুদ্ধেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন এসব স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, মাহমুদা আখতারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে এক কোটি ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মাহমুদা আখতারের ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৩৬ কোটি ৩১ লক্ষ ৯১ হাজার ১৪ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেন। মাহমুদা আখতারের অর্জিত সকল সম্পদ এখনও সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
তদন্তকালে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ যাতে হস্তান্তর, স্থানান্তর কিংবা রূপান্তর করতে না পারেন সেজন্য স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ করার আবেদন করে দুদক।