ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা অভিমুখে রোডমার্চ করছে হিন্দু-বৌদ্ধ পরিষদ।
Published : 06 Jan 2023, 06:14 PM
সাত দফা দাবিতে ঢাকা অভিমুখে হিন্দু-বৌদ্ধ পরিষদের পূর্ব ঘোষিত রোডমার্চ শুরুর উদ্বোধনী সমাবেশে সন্তু লারমা বলেছেন, এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নানাভাবে শোষণ-বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে দুদিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।
ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় ক্ষমতাসীন সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে এ কর্মসূচি হচ্ছে। শনিবার দুপুরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হওয়ার পর সেখান থেকে পদযাত্রা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষের এ সংগঠন।
সাত দফায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকারের পাশাপাশি আদিবাসীদের জন্য পার্বত্য ভূমি কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
চট্টগ্রামে সমাবেশে জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা বলেন, এদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এ রোডমার্চ। এদেশের সংখ্যালঘু মানুষ বঞ্চিত ও প্রতারিত।
“এই কর্মসূচি শুধু আনুষ্ঠিনকতা নয়। এর মধ্য দিয়ে নেতৃত্বকে আরও সুগঠিত করতে হবে। সেই নেতৃত্ব ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এগিয়ে আসবেন, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
এ সাত দফা দাবি আদায়ে পাবর্ত চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পরিষদের সম্মিলিত সংগ্রামের পক্ষে মত দেন তিনি।
“এসব দাবির মধ্যে আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের নানা সামাজিক ও ধর্মীয় দাবির প্রতিফলন দেখি। এসব দাবির মধ্যে দিয়ে তাদের জীবনের শোষণ-বঞ্চনার অবসানের দিকে যেতে পারব বলে আশা করি।”
এর আগে চট্টগ্রাম নগর পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিক।
এতে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, “রোডমার্চের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়বই। আমাদের শত্রু ধর্মান্ধ জামাতিরা।“
পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত এতে উপস্থিত ছিলেন।
পরিষদের ৭ দফা দাবি হল- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন।