২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে চান ঢাকার দুই মেয়র।
Published : 29 Jun 2023, 09:33 PM
ঈদের দিনে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে যে বৃষ্টির মুখোমুখি হতে হয়েছে ঢাকাবাসীকে- তা ঈদের নামাজ ও পশু কোরবানিতে বিঘ্ন ঘটালেও বর্জ্য অপসারণে সহায়ক হয়েছে।
বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে ঝড়া বৃষ্টির পানি সড়ক ও অলিগলিতে পড়ে থাকা পশুর রক্ত ও বর্জ্য ধুয়ে দিয়েছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে কিছু খরকুটাও চলে গেছে ড্রেনে।
পানি ছিটিয়ে শহর পরিষ্কারের যে ঝক্কি তা থেকে রেহাই পেয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। প্রতিবার ছোপ ছোপ রক্তের জমাট দাগ থেকে যে দুর্গন্ধ বের হয়, এবার তেমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। ব্লিচিং পাউডারও ছিটানোর তেমন প্রয়োজন পড়েনি।
এ পরিস্থিতিতে ভারী বর্জ্য হিসেবে পশুর গোবর, জবাই কাজে ব্যবহৃত পাটি, হাটের খরকুটা, মাংসের হাড় ও উচ্ছিষ্ট সরানোতে নজর ছিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজে নিযুক্ত কর্মীদের।
অবশ্য এ কাজ করতে গিয়েও তাদের ভিজতে হয়েছে মধ্য আষাঢ়ের বৃষ্টিতে। ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও বৃষ্টির আভাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত শেষে দুই সিটি মেয়র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঈদের দিনে তৈরি হওয়া বর্জ্য সরানোর ঘোষণা দেন।
বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, কর্মী ও কন্ট্রোল রুম চালুর কথা জানিয়েছে দুই সিটি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০টির শতভাগ বর্জ্য সরিয়ে ফেলতে পেরেছে দক্ষিণ সিটি।
শতভাগ বর্জ্য সরানো ওয়ার্ডগুলো হলো- ১,২,৩, ৯, ১০, ১৩, ১৬, ১৮, ২১, ২৪, ২৬, ২৮, ৩০, ৩১,৩২, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৪১, ৪৩, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৬, ৫৭, ৬৯, ৭২ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড।
আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ কোরবানির বর্জ্যের ৭০ শতাংশ অপসারিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।
তিনি জানিয়েছেন, ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টির শতভাগ বর্জ্য শেষ হয়েছে। এসব ওয়ার্ড হচ্ছে-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ , ৮, ১৭, ১৯, ২২, ২৩, ২৪, ১০, ১১, ১২, ২৬, ২৭, ২৮, ৩২, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৩৯, ৩৭, ৩৮, ৪১ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড।
সরকারি হিসাবে গত বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল এক কোটি ২১ লাখ। এর বিপরীতে কোরবানির সময়ে পশু জবাই হয়েছে ৯৯ লাখ।
তবে এবার কোরবানীর পশু চাহিদার চেয়ে বেশি প্রস্তুত থাকায় পশু উদ্ধৃত থাকতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ বছর কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত আছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে ৪৮ লাখের বেশি হচ্ছে গরু ও মহিষ।
এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি পশুর। সবমিলিয়ে কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে ২১ লাখের বেশি বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত কোরবানি দেওয়া যায়।