নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
Published : 29 Jan 2025, 10:07 PM
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুলে তিন হাজার জনের নিয়োগ স্থগিত করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
এর ফলে তাদের নিয়োগে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
পরে কায়সার কামাল বলেন, হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আসে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ চার মাসের জন্য স্থগিত করেছে।
“একইসঙ্গে এ বিষয়ে জারি করা রুল ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।”
এর আগে ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর এ নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তাতে মনোনীত ৩১৪৯ জনকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে ১০ম গ্রেডে নিয়োগে সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল।
পরে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এ নিয়োগ স্থগিত করেছিল হাই কোর্ট।
এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও চাতুর্যের আশ্রয় নেওয়ায় তা বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করেন অকৃতকার্য কয়েকজন পরীক্ষার্থী।
হাই কোর্টের রায়ের পর সেদিন কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুলে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর ও ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর (নবম ও দশম গ্রেড) পদে তিন হাজার ৫৩৪ জনের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাড়ে ৩ হাজার নিয়োগ স্থগিত
পলিটেকনিক, টেকনিক্যাল কলেজে ৩১৪৯ ইন্সট্রাক্টর নিয়োগে সুপারিশ