৩ বছর আগে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল।
Published : 27 Nov 2024, 09:47 AM
বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ৪৩ ক্যাটাগরির ‘জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক)' এবং ‘ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর' পদে নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
মনোনীত ৩১৪৯ জনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে ১০ম গ্রেডে নিয়োগে সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে।
সনদ ও অন্যান্য নথি যাচাইয়ের পর মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত নিয়োগ দেবে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত এই ফল পিএসসির ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd ) দেখা যাচ্ছে।
২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল, যার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের ১৮ মার্চ। আর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত।
এ নিয়োগ পরীক্ষায় ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস' হয়েছে দাবি করে গেল জুলাইয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ১১ অগাস্ট নিয়োগ প্রার্থীদের একাংশ পিএসসির সামনে অবস্থান নিয়ে দ্রুত ফল প্রকাশের দাবি জানান।
ওইদিনের কর্মসূচির সংগঠক ইমরান হোসেন বলেছিলেন, পলিটেকনিক ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৩ ও ১৫তম গ্রেডভুক্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের একাংশ একটি রিট আবেদন করে ১০ম গ্রেডে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতি দাবি করেন, যা ২০২০ সালের প্রজ্ঞাপনের ক্যাডার নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
“মহামান্য হাই কোর্ট মামলায় রুল ইস্যু না করে বাদীদের দায়ের করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তির জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আদেশ দিয়েছেন। নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতির সুযোগ নেই বলে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা নিষ্পত্তি করেছেন।"
এরপর অগাস্টের শেষে প্রার্থীদের আরেক অংশ সংবাদমাধ্যমে আসা প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুলে ধরে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে রিট আবেদন করেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ফল প্রকাশে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। পরে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করে, যার প্রতিবেদন জমা পড়ে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে। ওই প্রতিবেদনে প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ না মেলার কথা উঠে আসে বলে তখন কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল।
ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে গত ৮ অক্টোবর পিএসসির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পদত্যাগ করেন। এরপর নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা যোগদান করে আগের কমিশনের নেওয়া এ নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলেন।
ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতার কারণ জানতে চাইলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৪৪টি ক্যাটাগরির এক একটি নিয়ে আলাদা আলাদা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল।
“নতুন কমিশনের বিজ্ঞ চেয়ারম্যান ও সদস্য মহোদয়রা দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই শেষে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্তে এসেছেন।"